পদচিহ্ন
পদচিহ্ন
একই বাতাস নিই বুক ভরে, আবার ছেড়ে দিই,
জানি এই বাতাস না চাইলেও তোমাকে নিতে হবেই।
কতটা সময় থাকতে পারবে আমার ওপর রাগ করে,
কতো দূরে আর ছুটে যাবে! পড়বে তুমি হাঁফিয়েই।
থাকবো যে আমরা সকলে এই পৃথিবীতেই।
নিজের অজান্তেই তুমি এ জীবনে এসেছিলে,
নরম মাটিতে রেখেছিলে আলতো করে ছাপ পায়ের।
তখনও বোঝোনি এভাবেই রেখেছো নিজের সাক্ষর,
জানতেনা এ কথাটা, কষ্টে মাটিও হতে পারে পাথর।
ভেবেছিলে বৃষ্টিতে ধুয়ে সাফ হবে সব, হবে নিশ্চিন্হ,
জানো? হাত-পায়ের ছাপেও লুকিয়ে থাকে চিন্হ।
তাই আজ আমি নিশ্চিত! যদি তুমি যেতে চাও যাও,
সব নিয়ে যাবে? দেখি কি করে নিজেকে নাও !
জানি, সময়ের সাথে হয়তো পাথরও ক্ষয়ে যায়,
কিন্তু সে যে এখনও বহুদূর, বহু দীর্ঘ সে সময়।
সবটা যাবেনা ক্ষয়ে কিছুতেই যতক্ষণ দেহে প্রাণ রয়,
ভোরের তরুণ অরুণ আলোয় চিহ্ন রোজ নতুন হয়।
নতুন নতুন বার্তা শোনায় আমায় নব কিশলয়,
দখিণা সমীরনে, অকারণে ফুলের সৌরভ বয়।
কিছু কিছু স্মৃতি মানুষের জীবনে অক্ষয় হয়ে রয়,
হতে পারে সুখ বা দুঃখের কিন্তু কখনও মলীন নয়।
স্মৃতি যদি জ্বলে জ্বলে তারার মতো আলো ছড়ায়,
দুঃখকেও মাঝে মাঝে তখন সুখ বলে মনে হয়।
সময়ের সাথে সাথে খর রৌদ্রের তাপে একদিন,
নরম মাটিও তেতে হয়েছিলো বড়ই কঠিন।
তপ্ত মাটিতে পা রাখতে কষ্ট হচ্ছিলো বলেই,
আমাকে মরুভূমি হতে দিয়ে পালাতে চেয়েছিলে,
সময় ও গতির খেলায় মেতে নিজেকেই পোড়ালে।
শুধু শুধু এভাবে কেন যে নিজেকে কষ্ট দিলে!
বুক ভরা অভিমান ছাড়া, বলো তুমি আর কি পেলে?

