লবঙ্গলতিকা ৮
লবঙ্গলতিকা ৮
লবঙ্গলতিকা ৮(12/3/22)
এক নিঃশব্দে কান্নার চোখের মধ্যে ডুবে মরে যেতে ইচ্ছে করে লবঙ্গলতিকা,
জানো, সময় বদলেগেছে অনেক। এখানে পুরো চোখের মধ্যে ডুবে যাওয়া
ব্যথার পাশে একরাশ কান্না জমে খালি ,ভুল দেশে ভুল সময়ে জন্ম
যদিও, এখানে যত কিছু অট্টালিকা দেখি আকাশ ছোঁয়া
কবেই মরেগেছে এরা মদ,নারী,পুরুষ আর চুরুটের সাথে চরস,মারিজুয়ানা
এই ,গল্প আজ শহরে নগরে পথে ঘাটে এমনকি শ্রেণী কক্ষে
আসে , আমরা কখনো আঙুলের ডগায় ছুঁয়ে দেখিনি ,
জিভের মধ্যে নোনতা অথবা অন্যতর বেগুন পোড়া গন্ধ নেবার আকাঙ্ক্ষা জাগেনি
তবু,কুৎসিত মুখের ব্রণ ও ফোঁড়া ভরা মুখে ঠোঁট ও জিহ্বার শিৎকার শুনে
মাথানত করে চলৈ আসি শিক্ষাঙ্গনে গলিতে আজকাল এসব সহজ ব্যাপার।
তবে ,আমরা কি বড্ড বুড়ো,অলস,ভালোবাসার কথা বলতে জানি না কখনো।
তার, ফোঁড়া ভরা মুখে প্রেমের যন্ত্রণা জীবন কাটে তোলাবাজি ,কাটমানি আর প্রতারণা করে
এই ,এই সব ছেলেদের বাহুতে বল বোঝা যায় গলায় কুকুরের শিঁকল,
হাতে বালা দশভরি সোনালী ধাতু,বোতাম খোলা,অন্তর্বাসহীন
শুধু, আইন ও প্রশাসন বেঁচে থাকে ,জনগণ কুকুরের ও শূকরের বাচ্চাদের নিয়ে আর্তনাদে রাত কাটায়
শব্দ, মনোরম শব্দের মাধুরী ভেসে আসে বিশতলার টাওয়ারের চূড়ায়।
জ্যোৎস্নার রাতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে দেখার চেষ্টা করি চোখের মধ্যে আমার ভাসার দিন
কিছু ,কিছু আজো অবশেষ আছে ।নাকি তুমিও ওদের মতো গঙ্গার মতো ঘাটে যাও বাগবাজারে,
বাবুঘাটে স্নান সারো ,প্রাতঃকৃত্য করো গঙ্গায়।
এই, এই সব কথা আজকাল মনে হয় রাত ভেঙে লোকালয়ে শ্মশান নেমে এলে অশুদ্ধ পানীয় আজ জোছনার মেঘে।
তুমি কি এই মেদবহুল , রজঃস্বলা ,মরা মন , পেটের ঝামেলা এসব ছেড়ে
হেসে,হেসে উঠে আশ্লেষে একবার গান গাবে দেশকালের রুচির মাথা না খেয়ে
তুমি, তুমি মায়া ভরা এক জীবনের নাম ,টিউলিপ ফোটে আজো বাংলায়।
@সুনীল কুমার রায় @12/3/22