লবঙ্গলতিকা ৭
লবঙ্গলতিকা ৭
লবঙ্গলতিকা ৭
মাঝরাতে ঘুমিয়ে পড়েছ লবঙ্গলতিকা হায় ওঠে কথায় কথায়,
তাই, দূরভাষে ভেসে ওঠে তোমার জ্যোৎস্নার মতো শরীর
দেখি, দেখতে পাই দূর অন্ধকার গ্রামের গলি পথে যেখানে দাঁড়িয়ে
গাছ, পাতাগুলো টেনে দাঁড়িয়ে আছে ঘোমটা পরা প্রৌঢ়া বধূ
এই,, এই ভাব কিশোর কালে জেগে উঠতো আহা ,আমার একদিন রাঙা বৌ হবে
আচ্ছা, গ্রামের রসিকা ঠাকুমা বৌঠান কাকিমা আড়ে আড়ে কত কিছু ইঙ্গিতে বলে
বলে , বুঝিনা তেমন কিছু জোছনার মতো একবুক বসন্তবিলাপ আসে
জানি, ছোট ছোট মেঠো গাঁয়ে জীবন ছিল তবুও
আজ, সব আছে নগর, নাগর, নাগরী --শহরে নিয়নের ঝড় গালে গলিত রঙের বাহার
তবু, এই নির্বাসনে তোমার আলস্য জড়িত শরীরের মধ্যে এক টুকরো বাসা
এই, শুধু এই প্রার্থনা ছিল ,তবুও সবাই জানে , কেউ জানে না যে কথা
বলি, লুট করে নিয়েছে যারা চিকিৎসা করবে প্রাণের বলে জ্ঞানের আলোয় একটি জাতি বৃত্তশালী
হবে, মরীচিকা, পুতনার মতো কেড়ে নিয়ে গেছে হৃদয়ের সন্তান, মৃত সে বিষে, লুট হয়েগেছে গৃহ ও ধন
বিষ, বিষাক্ত পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের গবেষণা কাজ ,যদিও মনের মধ্যে গূঢ়ৈষণা মানুষের মাংসে চলে দেশ,রাষ্ট্র ,সমাজের বলাৎকার
তবু , মরিনি আজও বেঁচে আছি ,ভুল সব ,দোষ সব আমার জেনেছ শুধু
কিন্তু, যে নারী মিথ্যা ছক কষে ,মানুষের শিক্ষা আলোকিত করে জেনে বিশ্বাস করে
শুধু, কেড়ে খাবে জান্তব ভোগ ,অঘোরী সাধকের মতো ঘিলু ও খুলি হয়ে যায় খাদ্য
তাই, প্রতিরোধ ফিরে আসি ,সে এক গভীর জঙ্গল ,গায়ে আগুন দাগ, মুখে বয়সের ভার ,সময় চলেই গেছে
তাই , তুমি জানো এই প্রজ্ঞা , এই লোক কাজের কথায় আসে না মোটেও
শুধু ,জীবনের কিছু ব্যবহার করে নেওয়া চলে মেঠোপথে গরুর গাড়ি ,সেই
আমি, তোমার কাছে নতজানু হয়ে জ্যোৎস্নার মতো শরীরের সাথে মিশে রামায়ণের কাঠবিড়ালি হবো।
বলি, শোন এই রাতে কিছু কথা আছে,ঘুম আসে ,কাজ আছে ,অপর প্রণয়ভাজন আছে
আর, আমি শুধু আছি ,এইমাত্র ক্লান্ত শরীরের পিঠ বালিশের মতো কতকটা হায় তোলার মতো।।
@সুনীল কুমার রায়@10/3/22