লবঙ্গলতিকা ১১
লবঙ্গলতিকা ১১
লবঙ্গলতিকা ১১
তোমার কাছে বসে নীতিমালা শুনে শুদ্ধতম চরিত্রের ভালো মানুষ হতে হবে
তাই কখনো গাছের ফুল ফোটাকে দেখেছি ঘ্রাণ নিলে অপবিত্রতা ঘিরে
ধরে, মৃত্যুর ব্যথা না পাওয়ার বেদনা ভাগ করতে নেই কোথাও
তাই ,যে আনন্দ ও অশ্রু গড়িয়ে পড়তো তাও নিঃশব্দে জমিয়ে রাখতে রাখতে
জীবনের প্রবাহ কোথাও পাথুরে কোথাও পাঁকে ভরাট হয়ে
দূরে সরে গেছে জলসীমা যৌবন অতিদূর কোন উৎসব ছাড়া কাশবন বালিমাঠ কাঁটাগাছ এসব
ফেরা কি সম্ভব আজ লবঙ্গলতিকা প্রেমের ঘ্রাণ যেখানে ত্রিবলি কুঁড়িতে যখন প্রথম
সেই ,মৃগনাভির গন্ধ যখন প্রথম ছোঁয়ায় ভয়ংকর বৃষ্টি নামে ঝড়ের মতো শরীরে গাছেরা পাক খায়
তখন আমি দূরে দূরে বুঝিনি তখনও জীবনের তলে জমেছে পলি ভূকম্পন হলে পাহাড়ের জন্ম
হয়, শীতল বরফ জমে বরফ পড়ে ঝর্ণা নামে আর পৃথিবীর জীবন ও মৃত্যুর গল্প
ফুল ও পাখির গান সব শোকের ছায়া ও দুঃখের লাভাস্রোত মনে হয়
যেন ,ফারাক আছে তোমাকে দেখলে ভাসা ভাসা জ্ঞান আসে ,
চারপাশ দেখলে অর্থ আছে নিশ্চয় এই বসন্ত ,এই ফুল ,এই পাখি ,
এই তোমার নানাবর্ণের শরীর ,কিন্তু কতগুলো কঙ্কাল
আর খুন হয়ে যাওয়া কতগুলো শরীরের নড়া
আর, একঝাঁক মত্ততা ভরা খুনীদের প্যাকেটে মুণ্ডু আর হাত ভর্তি রক্ত বুক ভর্তি বারুদ
নিয়ে, এপার ওপারে ছুটে ছুটে বেড়াতেই দেখলাম শুধু।
আমি, এলোমেলো হারিয়ে যাওয়া যৌবন, হারিয়ে যাওয়া তুমি,
হারিয়ে যাওয়া আত্মা , হারিয়ে যাওয়া আমার আমি
এই সব এক সরল রেখায় ফিরিয়ে দেবে না কেউ নিশ্চিত,এই বুকের ভেতর
শিলাগুলো যত ভাঙি ততবুড়ো হয়ে বুঝি পাথর বাড়ছে শুধু বছর বছর,
ফিরবে এক বিছানায় মাটির সাথে পিঠে যার ছুরিকাঘাতের যাদুময় আবির লেগে আছে।।
@সুনীলকুমার রায় @20/3/22