থেকে যেও
থেকে যেও
থেকো যাও পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী কান্না মেখে, সমুদ্রের লোনা জলে
চর্মরোগ হবে না জেনে স্নানে আপত্তি করো না আর। আমাকে সেই ভাবে নিও।
তোমাকে নিয়ে খেলেছে যে শরীর সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো সেও আমার চাই, বিস্ময়ে উঠেছ কেঁপে তার ঘ্রাণ
পুড়ে যাওয়া অরণ্যের খাণ্ডব দহন, চর্বি তেল চামড়া পুড়ে ছাই হয়ে উড়ে আসে, আমি বসে বসে সমুদ্রের লোনা জলে চোখ ভিজিয়ে নিই ,এমন কি কঠিন তোমাকে নিয়ে উচ্চারিত করা সুর। হৃদয়ের নিঃসৃত বেদনা প্রথম আলো ,কোলেতে বীণার মতো শরীরে সুর তোলা। সে সব দিয়েগেছ বুঝে নিতে ,ইচ্ছার যোগে শরীরের মৃত্যুতে নেপথ্য কৌতুক। অনাঘ্রাত শরীরের ছুঁয়ে কৌমার্য ললিত কেলি ক্ষুধার আবেশে দিয়ে , দাঁড়িয়ে দুর্জয় সঙ্কল্প নিয়ে। শরীরের মৃত্যুতে মনের মৃ্ত্যু জেনেছো কখনো , কখনো এই আধাআধি তুমি , স্মৃতি ভরে দুরন্ত প্রার্থনার সম্ভোগে ব্যাকুল কেলি ভুলে গ্রহণে সক্ষম তুমি।
এই হাত ছুঁয়েছে যে নাভিমূল , ত্রিবলী , ত্রিভঙ্গ , ঠোঁট ছুঁয়েছে যে রসত্রিবণী,ত্র্যঙ্গুলে যে চুরি হয়েছে অনুভব, শ্যামঘাসের মাঝে যে বিদ্যুৎ আড়াল করেছে তোমায়। সেই তুমি দাঁড়িয়ে আছো গ্রহণে সক্ষম, যদিও নদীর পাড় ভেঙে পড়ে ফসলের ক্ষেত ভেসে যায়, বাড়ি ,গাছ ঘূর্ণিতে তলিয়ে যায়, সমুদ্রের গর্জন সুনামী ঢেকে দেয় সব। অবধারিত পরাজিত সৈনিকের মত জানুতে হাত রেখে বসি নবজন্ম নেব বলে আঁধারের সুখ স্বীকার করে। তুমি কি গ্রহণে সক্ষম আলোর সঙ্গমে।পৃথিবীর সব নদী বয়েছে যে জল , মানি তোমার শরীরেও অতিথি বন্যা দাঁতের ধারে রেখা রেখে গেছে। দৃশ্য ,গন্ধ, শব্দ শেষে নিষ্ফল পদচিহ্ন পলাতক পথচাওয়াতে সূর্যের আলো ছুঁয়ে ভেতরে ভেতরে ঢুকে পুড়ে গিয়ে
সমুদ্র সৈকতে বসে সমুদ্র স্নান সম্ভব। যে ভালোবাসা পুড়ে যাবে বাঁচিয়ে রাখতে শরীর।তুমি কেন শুধু তুমি হলে না, হলে আত্মপীড়নে আজ অতীতের বুকের পরে আমার কবর হতো না।তুমি কি আজও ভেঙে যাওয়া পাড় নিয়ে সবুজ গ্রাম ,ঘর ,বাড়ি গড়ে দিতে পারো। নাকি থেকেও আমার নয়, ধীরে ধীরে বসত লুপ্ত হয়ে যাবে বুকের আগুণে তোমার।
