নতুন আলু
নতুন আলু
আগেকার পিকনিক মানেই রান্না হতো হাঁসের ডিম,
প্রথম শীতের নতুন আলু আর বেগুন ভাজার মতোই,
মনের মধ্যেও যে মজা ছিলো অফুরান।
এখনকার পিকনিকে মাটন বটে,
কিন্তু কাজ করেনা ঠিকঠাক রসায়ন।
বারো মিশালি চালের সেই গরম ভাতের স্বাদ!
ফ্রায়েড রাইস হাজার চেষ্টা করেও পারেনা দিতে,
পিকনিক থেকে ফিরে মনে হয়, সব বরবাদ।
আসলে সকলের মধ্যের সেই আনন্দের উৎসটা,
দিনে দিনে গেছে যেন শুকিয়ে, সব কেমন কাঠ কাঠ।
উনুনটা না জ্বলতে চাইলে চোখ ফেটে বেরোতো জল,
সেখানে দুঃখ ছিলোনা, ছিলোনা কোনো কৌশল।
আগ বাড়িয়ে কেউ না কেউ এসেই যেতো,
ফু দিয়ে দিয়ে করতোই সেই প্রচেষ্টা সফল।
এভাবে কষ্ট ভাগ করে নেওয়া, কমিয়ে দেওয়া,
এসব কিছুই যে ছিলো পরম পাওয়া।
এখন তো সবাই সব কিছুই জানে, সকলেই এক্সপার্ট,
চুকে বুকে গেছে যতো আনাড়িপনার পাট।
পোষাক আশাকে আজকাল সকলেই খুব স্মার্ট!
আধুনিক পোষাকে দেখতে যে মন্দ লাগে, তা না,
কিন্তু কমপিটিশনের চোরা স্রোত মনকে ভরায় না।
চেষ্টা করছি, কিন্তু কিছুতেই পড়ছেনা মনে,
কেমন পোষাক পড়তাম পাড়ার পিকনিকের দিনে।
মনে হয় আটপৌড়ে ফ্রক, কার্ডিগান থাকতো পরনে,
টগবগ করা এক উত্তেজনা কাজ করতো মনে মনে।
মায়ের হাতে বোনা লাল-সাদা-সবুজ উলের ভেলটা!
অবশ্যই দিতে হবে মাথায়, "ঠান্ডা লাগাস না!"
মনে পড়ে যাচ্ছে মা-বাবার সেই সাবধান বাণী টা।
মনে পড়ছে নিঃস্বার্থ একজোড়া শাখা-পলা পরা হাত,
একটু সাহায্য করতো অকারণে, কার মা কে জানে!
