মধ্যবিত্ত-কচু!
মধ্যবিত্ত-কচু!
ওহে, ওহে ও মশাইরা, তোমরা কি জানো না ?
ঠিকঠাক মধ্যবিত্ত জীবন বলে আসলে কিছুই হয়না।
সাধারণ কথায় আমি মুখ খুলতে চাইনা,
কিন্তু এমন আজগুবি কথায়,
আর চুপ থাকতে পারলাম না।
একটা জীবন বা এক পরিবারের জীবন নিম্নবিত্ত
ও উচ্চবিত্ত বললে গরীব আর ধনী বোঝা যায়,
কিন্তু মধ্যবিত্ত বললেই যতো গন্ডগোল হয় !
আছে তো নিম্ন মধ্যবিত্ত বলে একটা কথা,
আবার উচ্চ মধ্যবিত্ত বলেও আছে আরেকটা কথা।
অযথা এসব নিয়ে মাথা ঘামালে হবে সময় কাবার,
তার চেয়ে কথা বলি বরং নিয়ে এক সাধারণ খাবার।
" কচু কহে গন্ধ শোভা নিয়ে খাও ধুয়ে
হেথা আমি অধিকার গড়িয়াছি ভুঁয়ে
মাটির ভিতর তার দখল প্রচুর
প্রত্যক্ষ প্রমাণে জিত হইল কচুর। "
হ্যাঁ এই কচুই হলো এক আদর্শ মধ্যবিত্ত সব্জি,
নিরামিষ কচুশাক, তাতে ছোলা বা বাদাম যাই থাক,
বলা যেতেই পারে তাকে নিম্ন মধ্যবিত্ত ।
আবার এতে যদি ইলিশ মাছের মাথা দেওয়া হয়,
তখন তো তাকে বলাই যায় উচ্চ মধ্যবিত্ত ।
কথায় বলে," রতনে রতন চেনে, শুওরে চেনে কচু,
কচু পোড়া! আমিও চিনিনা গলায় ধরে যে কোন কচু,
তাতে কি এলো গেলো! কুটকুট করবে গলা ?
আছে তেঁতুল, হুঃ ভয় পাই আমি ! ঘেচু!
ভালোবাসি খেতে তো আমি, কচুর শাক ও ডালনা,
তাই বলে মধ্যবিত্তরা কিন্তু মোটেও শুওর না !
হতে পারে কচু এক তুচ্ছ সব্জি, অতি সাধারণ ।
মধ্যবিত্ত বাঙালি বোকার মতো দু টাকার সব্জিতে
খরচ করে ফেলে খুশিমনে দশ টাকা কোনোমতে।
ভালো করে রান্না হলে, খেতে তো হয় অসাধারন !
