মায়াজাল
মায়াজাল
প্রিয়তম বহু বছর কেটে গেছে
মোরা রয়েছি আলোকবর্ষ দূরে;
আমি আজো ভুলিনি তোমায় তুমি অধরা ,
তোমার বলা কথাগুলো যে মিথ্যা ছিল
এই মন তা বোঝেনি, মোর হৃদয় বিশ্বাস করেছিল
পতঙ্গের মতো ছুটে গিয়েছিলাম ।
হায়!বড্ড বোকা ছিলাম সেদিন আমি,
তাই তো চাঁদনী রাতের জোছনা মেখে
নিজের সবটা উজার করে দিয়েছিলাম।
তুমি তা মুঠোফোনে করেছিলে বন্দী
আমি বিন্দুমাত্র বুঝিনি তোমার অভিসন্ধি।
আমি ভেবেছিলাম দুটি মনের মিলন ঘটেছে
মোদের স্বপ্নের ঘরে থাকব মোরা সুখে;
আমাদের এই সম্পর্ক জন্মজন্মান্তরে ।।
আজি বসন্ত সমাগমে প্রকৃতি সেজে উঠেছে
আজি প্রভাতে বসন্ত উৎসবে মেতে উঠেছে ।
কিন্তু আমি আজি এই কামরায় একাকী বন্দিনী ,
জন্মভূমি থেকে কয়েকশো যোজন দূরে--
তোমার সঙ্গে ঘর বাধা হয় নি!
তুমি অচৈতন্য অবস্থায় কয়েকটি পশুর হাতে
আমায় ফেলে গিয়েছিলে।
পাশবিক অত্যাচারে আমি ভুলেছি নিজ পরিচয়
সেদিন থেকে প্রতি রাতে আমি হই
অচেনার বিকৃত কামনার স্বীকার;
আঘাতে আঘাতে আমার হৃদয় আজি রক্তাক্ত ।।
হে প্রিয়তম!ঘর ছাড়ার দিনটি পরে মনে আজো,
মায়ের স্নেহ বাবার ভালোবাসা ভুলে
চুপিসারে অষ্টাদশী আমি এসেছিলাম তোমার সনে,
পরে জেনেছি তোমার স্বরূপ ---
আমার মতো তোমার আরো রয়েছে প্রিয়তমা।
মুঠোফোনে বন্ধী নিভৃতে কাটানো মুহুর্ত হাতিয়ার
নারী পাচার নাকি তোমার পেশা।
তুমি থাকো সেই সুদূরে আজি চাঁদনী রাতে
তুমি এখন ব্যাস্ত মাকড়সার জালের মতো-
তোমার স্বভাবসিদ্ধ মিষ্টি বুলির জাল বুনতে;
তোমার নব প্রিয়তমাকে মিথ্যে ভালোবাসতে।।