কবর
কবর
গন্ধবকুলের ডালে...... দূর থেকে ভেসে আসে যখন বিরহিয়া বসন্তবৌরির শীৎকার,
আবেগগুলো কিলিমাঞ্জারো হয়ে মেঘ ছোঁয় নেপথ্যে।
ক্যান্টিনে সস্তা খাবারে যেমন লেগে থাকে ব্যবসায়িক বুনো গন্ধ.....
মায়ের হাতের আলুপোস্ত তখন আশীর্বাদিকা হয়ে চোখ ধুয়ে দেয় স্মৃতিতে।
আমি স্মৃতিকথা ভালোবাসি বড্ড, বেহাগ মাছির বৈঠায় ছলাৎ ছলাৎ বিরহ শুনতে ভালোলাগে......
কেমন যেন ঝিম ধরা বাউল অনুভূতি '
নেপথ্যে আর্তরবরত মরিয়া চাতকের গলা চেরা রক্তে স্নাত উষর বারিধারা ;
বিরহকে রূপকথা ভেবে যাপন করে নিঃশব্দে।
আগামীতে লেখা হবে না কোনো সার্থক পুরাণ.....
ধর্মধ্বজ ভেসে গেছে কবির গলাকাটা রক্তে, স্বাভাবিক!
বিধাতাযাপন বরাবরই বলিগ্রহণ করে উষ্ণ ' পাঁঠা - দুম্বা অথবা মানুষ ---
তাই নয় কি?
আচ্ছা প্রেম কখনো পোষ্যের কলার হয়ে চেপে ধরেছে গলা?
সময়াবকাশে ঘৃণা মাখিয়ে ছুঁড়ে দিয়েছে আধা একখানা বিস্কুট!
বিদ্রোহের রঙমশাল যখন এক মুহূর্তে
নিভে যায় মূত্রের জলে.....
খিল্লি মনে হয় তখন প্রেমের কথকতা।
আমিনাকে আমি বারংবার বারণ করেছিলাম গলায় দড়ি দিতে....
বেচারী মুঘলসরাইয়ের রাস্তা থেকে বয়ে এনেছিল থকথকে পাপ,
প্রেম যখন বঞ্চনা হয়ে ঠোকর বসায় প্রতি রোমকূপে ' তখন ;
আগাম সতর্কতা তখন কবরের চারদেওয়ালে ব্যঙ্গাদেশ হয়ে মুখ ভেঙচায়।
আমি ভালোবাসার আঁতুড়ঘর ফুটিয়ে বের করে এনেছিলাম বাৎসল্যসুখ....
কড়া সিডেটিভ জিভের তলায় দিয়ে আঁচড় কেটেছিলাম পিঠে,
স্তন্যদানে অনুভব করতে চেয়েছিলাম সন্তানসারল্য ' পারিনি কিছুই.....
বুকে দগদগে ঘা নিয়ে এখন কড়মড় করে চিবোচ্ছি কবিতার খাতা ; অতর্কিতে।
শব্দজব্দে প্রতিরাতে লাল ক্যানভাসে আঁকা কালো দাগগুলো বড্ড হাসাহাসি করে আজকাল.....
কঠিন কান্নাগুলো প্রজাপতি হয়ে ডানা মেলে দেয় মাঝরাতে,
বেহায়া ইচ্ছেগুলো মৈথুন হয়ে জলে ভাসায় আকাশবাড়ি '
মৃত জোনাকির ঘষটানো শব লঘুস্বরে বলে....
আলমপনাহ আসুন! বিধাতার দরবারে আজ প্রেম বিক্রি করতে যাই।।