প্রতিবাদী কলম
প্রতিবাদী কলম


আধোঘুমে ঢুলুঢুলু চাঁদের আঁখিপাতায় মিশে থাকে...
না পাওয়া শব্দাক্ষরিকতার অনেকটা অভিমানী কাজল,
ম্যাড়মেড়ে হলুদ পাতায় রেখে জীর্ণ বসন্তের ছাপ '
একগোছা শুখাপাতা ভিড় করে মাটিগোলা মেঝের কোলে,
আদেখলা বাতাসে উড়ে চলে পোড়া বারুদের গন্ধ----
স্থিমিত সভ্যতার নিভন্ত প্রদীপে জ্বলে নাড়িছেঁড়া রক্তজল,
কলিজা বিঁধিয়ে হাসে শানিত বাক্যের ছোরা....
কুটিল হাসি হেসে একটু একটু মরতে দেখে যে। সে কোনো প্রিয়জন।
মেকি উদাসীনতাকে হাতিয়ার করে....
তেপান্তর বেয়ে হেঁটে চলে কোনো বিরহীর পচা লাশ,
চারকাঁধে দোলে নামাবলী - কাফন '
বঞ্চিত প্রেতের ব্যাথিত দীর্ঘশ্বাস ----
দূর্মোহ বাস্তবিকতায় নাড়িয়ে দেয় আকাশবাড়ির ভীত,
কলিযুগের প্রশস্ত বক্ষে লেগে থাকে ক্লান্ত শোণিতসুর;
নির্লিপ্তির আস্তাবলে। চিঁহিরব করে খুঁটিবাধা কলম ;
নির্লজ্জ স্তাবকতায়।
কঠিন যত হিসেবনিকেশ মেপে....
বেহাগের তানপুরায় ঝলকে ওঠে প্রতিবাদী সুর,
গুঁড়োনো মেরুদণ্ডের অস্থিকোষ ছেঁচে '
বিনিময় করে ফেলে মোহবেশি নোটের তাড়া,
যোজনপথ বেয়ে চলে নির্মম বিপ্লব-----
আগুন ধরিয়ে প্রাণে ছিনিয়ে নেয় শব্দঋণ ;
কলুষিত সমাজের টুঁটি চিপে ধরার জন্য।
বদলে ফেলার জন্য।।