এক পশলা বৃষ্টি
এক পশলা বৃষ্টি


আজ সকাল থেকেই মেঘ করে থেকে
দুপুরের পর বৃষ্টি নামলো।
পড়ন্ত বিকেলে বর্ষনস্নাত প্রকৃতিকে দেখে
হঠাৎই কিছু একটা লিখতে ইচ্ছা হলো।
কিন্তু আমার লেখা কি কেউ পড়বে?
ছাপবে কি কোন ক্ষুদ্র ম্যাগাজিন?
না পড়লেও কেউ কি শুনবে?
অলীক স্বপ্নে, কল্পনায় সুপ্ত আকাঙ্খাটা হয়ে ওঠে রঙিন।
কালো মেঘটা তার সমস্ত নির্যাস ঢেলে
এখন চলেছে অন্য প্রান্তে,
পায়রাটা সারা দিনের পরে, ডানা ঝপটে বসলো গিয়ে ট্যাঙ্কের ছাদে।
সাদা বকটাও উড়ে চলেছে পুব আকাশে,
পুজোর গন্ধ মাখা বিকেলে সকলেই চলেছে
যে যার কাজে।
কিন্তু মন বলে দাঁড়াও, যেও না,
একটিবার পড়ে যাও, শুনে যাও,
লিখেছি নতুন একটা লেখা।
কিন্তু হায় রে ব্যাস্ততা!
সবার উত্তরই – না, সবারই বড্ড তাড়া।
তবু আশায় বুক বেঁধেছি।
এই ধূসর বিকেলে কেউ তো আছে
যে আমার কথা শুনবে।
হোক না সে বহু দুরে, কোনো প্রান্তরে,
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির ছোঁয়া আর মৃদু হাওয়া,
আমার কথা পৌঁছে দেবে ওরাই।
এমনি করেই বৃষ্টি ভেজা দুপুরের পর
শান্ত শীতল বিকেলে
জন্ম নেয় অনেক স্বপ্ন, অনেক সৃষ্টি।
কেউ পূর্ণতা পেয়ে এগিয়ে চলে ঝড়ের দুরন্ত গতিতে,
আর কাউকে ধুয়ে দেয়, নিশ্চিহ্ন করে দেয়
মুষলধারায় এক পশলা বৃষ্টি