সে
সে
তাকে প্রথম দেখেছিলাম
রোববারের ড্রয়িং ক্লাসে।
কথাও বলেছিলাম,
আমি ‘টেন’এ আর সে পড়তো নাইন্থ স্ট্যান্ডার্ডে।
সেই প্রথম দেখা আজও ভুলিনি।
খোলা চুল, আপেল রঙা গাল
আজও মনের গভীরে গেঁথে রয়েছে,
অন্য কেউ স্থান পায়নি।
এর পর মাঝে মাঝে হতো দেখা, হতো কথা।
খুবই সামান্য।
তবে পুজোর চারদিন ছিলো আমার অপেক্ষা
তার একটু দেখা পাওয়ার জন্য।
আস্তে আস্তে বড়ো হলাম
সেও উঠেছে বেড়ে।
আমি ফার্স্ট ইয়ার বি.কম,
সে এখন টুয়েল্ভ কমার্সে পড়ে।
দেখা, কথা এখনও হয়,
এমনকি মাঝে মধ্যেই।
একটু হাত নাড়া, একটু ‘বাই’ করা, মিষ্টি হাসি
ব্যাস এটুকুই।
এবার পুজোতেও তাকে দেখেছি
দু-চোখ ভরে, ওয়েস্টার্ন আউটফিটে।
প্রাণ চঞ্চল এক অষ্টাদশী!
সপ্তমীতে ব্ল্যাক, নবমীতে সাদা আর দশমীতে,
রোম্যান্টিক পিঙ্কে।
এর পরেও অপেক্ষা করেছি
তার কোচিং থেকে ফেরার,
যে পথে তার নিত্য আসা যাওয়া
সেখানে ছুটে গেছি বারবার।
তার আকর্ষনে – কি মোহোময়ী সে রূপ তার!
এমনি করেই কয়েক বছর ধরে
তাকে দেখে চলেছি।
অপরূপ সৌন্দর্যের আহ্বানে
মন সাড়া দিয়েছে।
তবু মনের কথা মনেই রয়ে গেছে।
বহুবার চেষ্টা করেছি – কিন্তু না,
এবছরেও তা পারিনি।
তবু আমি রাজি ওই লাবন্যময়ীর জন্য
আরও সময় নিতে।
আমি চাই তার বন্ধু হতে,
তাকে ভালো ভাবে জানতে, চিনতে।
তাই আমি অপেক্ষা করবো।
আরও কিছু দিন।
আমি চাই তার বন্ধুত্ব, আমি পেতে চাই তার সঙ্গ।
তাকে দেখার জন্য করতে পারি
আমি প্রতিক্ষা অনন্ত।
তাই আমি অপেক্ষা করবো
আমি অপেক্ষা করবো
প্রতিটা দিন।।