দুখু মিয়া
দুখু মিয়া
আসানশোলের সেই চায়ের দোকানটা আর নেই,
যেথা পেয়েছির তোমার পরশ নিজের অজান্তেই।
কে ভেবেছিল উঠবে জ্বলে অত্যাচারের কালোয়,
সাম্যের গান কেউ গায় না, তথাপি তোমার আলোয়,
উন্নত শিরে অনাচারে আজ ছেয়ে গেছে দিগ্বিদিক,
কন্ঠ রুদ্ধ করেছিলে আগেই ধিক আমাদের ধিক।
অগ্নিবীণায় তান তুলেছিলে অনাচারে বিষের বাঁশী,
হলুদ ঝিঙে ফুল মলিন আজি যে ফিঙেও পরবাসী।
উর্দ্ধ গগনে মাদল বাজে অনিয়মিত তাহার বাদল,
আর সে ভাবে কে আর বলিবে চল চল চল চল।
শুকনো পাতার নূপুর ধ্বনি মন পারে না আর দিতে,
ভারত মাতার চরণ চুমি' পার কি আর ফিরাইতে?
চমকে চমকে ধীর ভীরু পায় আসিতে আবার ফিরে,
বসিয়া বিজনে কেন একা মনে ভাসি গো অশ্রুনীরে।
ভুলি কেমনে আজো যে মনে কেন কাঁদে প্রাণ মোর,
এসেছে তমসা হেরিয়া সহসা কে ভাঙাবে ঘুমঘোর।
তুমি নাই আজ পিক্সের সাজ পরিয়া আপন গেহে,
যবে চলে গেলে দেশভূমি ফেলে যাবার তুমি কে হে?
আজো আছ এই বাংলাতেই সামনে তোমায় দেখি,
জাতপাত ভেদ করেছ অভেদ মোরা কবিতায় লেখি
আজি এই দিনে এই শুভক্ষণে জনম লইলে যদি,
থাক মহাসুখে বাংলার বুকে বয়ে যাক পদ্মা নদী।
