একুশে ফেব্রুয়ারী
একুশে ফেব্রুয়ারী
বহু সংগ্রামে রক্ত ঝরিয়ে পাওয়া তুমি
একুশে ফেব্রুয়ারী,
একুশের রক্তে লেখা – আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা।
একুশ একুশ আওয়াজে ধ্বনিত বাংলার প্রান্তর,
রক্তাক্ত গোলাপ রক্তে রাঙানো বাংলার মুখ।
এই রক্ত বিলাসী গোলাপটি মাতৃভাষার জন্য –
একুশের রক্তে লেখা বুকে এঁকে করেছি পণ।
ভুলবো না তোমায় কভু আসুক যতই দুঃখক্ষণ,
সালাম – বরকত – রফিক – জব্বার,
আরো হাজার শত ভাইয়ের রক্তে ভেজা,
২১ শে ফেব্রুয়ারী
স্মৃতির জানলা খুলে আজও আমাদের অন্তরে।
ঐ যে অত্যাচারিত বোনের ক্রন্দন আর
মায়ের হাহাকার,
জাগিয়ে তোলে বাহান্নর কত ধিক্কার।
পাকিস্থানের স্বৈরাচারী শাসকেরা করল জারি আইন ,
উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা, বাংলা ভাষাকে বাদ দিন ।
যুদ্ধ শুরু করেন – সকল দামাল ছেলে,
প্রাণ দিয়ে শহীদ হন, ফলে বাংলার জয় মেলে।
স্বাধীন হল বাংলাদেশ তাদের ত্যাগের জন্য,
ধন্য আমরা সবাই আজ তাদের আত্মত্যাগের জন্য।
বাংলা ভাষার মর্যাদা সবাই আমরা চাই
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হল তাই।
তাইতো সবার মুখে মুখে একটিই বানী,
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী'।