ঘরছাড়া
ঘরছাড়া
আজকে লিখছি ঘরছাড়া এক মেয়ের কথা,
পল্লী গাঁয়ের সবুজ পাতায় কথাগুলো ছিল লেখা।
সেই মেয়েটির আশা আর আবেগ ছিল নদীর সাথে।
ইচ্ছে ছিল নদীর কালো জলে চুল ভেজাবে আত্মভুলে।
বলবে কথা নিঃসঙ্গ মেঘ দুপুরে শালিক পাখির সুরে
আর সেই সে সুর ধীরে ধীরে মিশে যাবে বলক শিসে।
ইচ্ছে ছিল টাটকা ফুলের মালা গেঁথে পরবে খোঁপায় ,
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হলে হারিয়ে যাবে কদম গাছের তলায়।
ইচ্ছে ছিল ভরিয়ে দেবে মাকে ছোট ছোট বায়নায়,
হয়ত বলবে কেঁদে দাওনা মা, একটু রেঁধে কচুর মুখি,
সাথে কাঁচা তেতুলের টক খেয়ে মনটা মোর হোক সুখী ।
ইচ্ছে ছিল দুপুর রোদে নদীতে স্নান সারার একটু আগে,
সেই মেয়েটার মুঠোয় যেন কেবল তেঁতুল মাখাই থাকে।
ইচ্ছে ছিল বিলের শাপলা ফুলে সাজবে সে পল্লীবালা,
জানতো না কোনো গোধূলি কেড়ে নেবে ওর সব খেলা।
মেয়েটাই যাচ্ছে বহুদূর মায়ের স্নেহের আঁচল ছাড়া।
মেয়েটা আজ নিজেই নিজের মনের কাছে ছন্নছাড়া,
ও কেবল মনের খাতায় কবিতা লেখে শুধুই ঘরছাড়া।