বিশ্বাসে মিলায় বস্তু
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু
“জীবন এখনো রঙিন” – অনেকে ভাবে বটে!
সত্যি মিথ্যা ছিল,
আবার মিথ্যা সত্যি হল
জীবনে আমাদের রোজ এমন কতকিছু ঘটে।
এ জগতে যা আসলে কালো
চোখ বুজে তাকে সাদা বলো,
এমন না যদি তুমি করতে না পারো,
অচল হয়েই তবে গুমরে গুমরে মর!
“বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর”
এটা সত্য তো গল্পে হয় বাস্তবে বেসুর!
এখন তো বন্ধুই ছদ্মবেশে অবিশ্বাসী হয়
তোমাতে আশ্রয় নিয়ে তোমারই করে ক্ষয়।
সম্পর্কে এখন আর মন কে বা খোঁজে,
সম্পর্ক যে বাসা বাঁধে শরীরের ভাঁজে,
ভালোবাসায় মন এখন সত্যিই অকেজো
ভালবাসা থাকে শুধু জগতে বোকাদের কাছে।
উপকার যত তুমি করবে স্বজন যার যার,
তারাই ভালোবেসে হানবে বিশ্বাসে প্রহার ।
এ যুগেতে ভাই সততার নেই কোনো দাম,
ঠকায় যে যত বেশী তার হয় ততোই সুনাম ।
পেতে হলেএযুগে জীবনের প্রকৃষ্ট উন্নতির সোপান,
ধর্ম আর বিবেক ছেড়ে তোষামোদের নাও জ্ঞান।
করতে স্বার্থসিদ্ধি প্রয়োজনে কেঁদেও ভাসায়,
ছদ্মবেশী কাঙালী জ্ঞানীর ছল চেনা বড় দায়।
তাদের দলে যদি নাই মেশো, বা না শোন বারণ,
বেঁচে থাকা দায় হবে, অতিষ্ট করে ছাড়বে অকারণ।
বর্তমানে হও যদি তুমি অমলিন নির্ভেজাল ভালো,
অপরের ঈর্ষার আগুনে তোমায় জ্বলতে হবে জেনো।
কালিমা লিপ্ত হলেও কিন্তু ভয় পেয়ো না ভাই,
কলিকালের এই যুগধর্ম কোথাও শান্তি নাই!
মনে রেখো জীবনের সবখানে একই গল্প তাই,
জীবনের রূপভেদে পার্থক্য আজ কিছুই নাই।
তবুও হাল ছেড়ে দিও না বন্ধু তুমি কখনো,
ঈগল পাখীর মতোই লড়ে বাঁচার পথ চেনো।
জীবনের সবদিন তো সমান হয় না ভাই,
জেতার জন্য কখনো হারও মেনে নেই।
কালের নিয়মে একদিন সবাইকেই চলে যেতে হয়,
সঠিক সময়ের আগে তা যেন কারোর কক্ষনো না হয়!
লড়াই চালিয়ে যেতে হবে যে জীবনে প্রতিনিয়ত,
হারব না তো কোনমতেই আঘাত আসুক যত।
যে ভাবে জীবন সতত সুন্দর ভালো মন্দ নিয়ে,
‘চরৈবেতি’ জীবনযুদ্ধ তাকে দেবেই যে জিতিয়ে।
