ভাতঘুম
ভাতঘুম
কর্মহীন দুপুরে একটা আরামের ভাতঘুম!
তারপর আড়মোড়া ভেঙে যখন উঠলুম
অহেতুক মন খারাপ লাগতে থাকলো কেন,
মন খারাপের গাড়ির টিকিট কাটাই ছিল যেন!
ভাবলাম আমার মনের বোধ হয় বয়স বেড়েছে
বয়স বাড়ার চিহ্ন এই শরীরে থাক বা না থাক,
যদিও মনের বয়সের হিসাব করা যায় না,যাকগে যাক।
বয়স তার তালে হাঁটুক,আমি কড়া লিকার চায়ে দি
চুমুক !
এবার একটু শব্দজব্দ বা কাটাকুটি খেলা খেলি;
শব্দে শব্দে মনের ভিতর আনন্দের ঝংকার তুলি।
কবিতার উৎস খুঁজতে আনন্দবেলায় যাই ফিরে,
যদি আমায় তা ধরে ঘিরে লিখে ফেলব তরতরিয়ে!
আবার, কখনও সুখ–দুঃখের শিকড় হাতড়ে খুঁজি,
বিস্ময়ভরা চোখে নিজের মত করে নীল আকাশ দেখি।
লুকিয়ে ডানা মেলে স্বনির্ভর উড়ন্ত পাখির সুখ দেখি,
পাশাপাশি ঘরে ফেরা দুঃস্থ কিষানের চিন্তিত মুখ দেখি,
পাড়াবেড়ানো মেয়েটির ভিতর প্রাণের উচ্ছলতা খুঁজি!
এরমধ্যেই,শব্দের ব্যঞ্জনা বাজে, বোঝার চেষ্টা করি,
কিছু পংক্তি সাজাই, তবু আবারও আমার ঘুম পাচ্ছে!
আজ তবে এ পর্যন্তই...বুঝলাম ভাতঘুম চেপে ধরেছে!