বাড়ির গিন্নি
বাড়ির গিন্নি
বসন্তকাল চলছে দেখে ভাবছি লিখি দুই কলম,
আমার গিন্নি হঠাৎ হাজির হ’ন আর দেখান গরম!
তিনটি কাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে ,তবুও নও সুখী?
কবিতা লেখো প্রেম ভালোবাসার ! হঠাৎ হ’ন মারমুখী!
সকালবেলা কে যেন এক সুপ্রভাত করে পালিয়ে যায়!
ভেবে ভেবে সেসব কথায় বুড়োর স্মৃতি খাবি খায় হায়!
দেখে তো আমার গা জ্বলে যায়! শোনো হে অন্তর্যামী-
শেষে কিনা জুটল আমার ভাগ্যে বেইমান এই স্বামী?
গল্প লেখো,কবিতা লেখো – তাতে কার কি যায় আসে?
এই বয়সে প্রেমের কবিতা ? জানি তো সব লোক হাসে!
দেখতে কি পাও বছরভর ওই মানুষগুলোকে ফুটপাতে,
ন্যায্য আদায় কাড়তে আকুল রাণীর কাছে হাত পাতে?
মহার্ঘ সে ভাতার আশায় রাত কাটে ওদের রাস্তার ধারে,
মেলে যদি ভাতা তবে মাসিক আয় তাঁদের বেশ বাড়ে!
বুঝি না তো সেসব তোমার চোখকে কেন দেয় ফাঁকি?
প্রেম ছাড়া যে ওসব বিষয় আজও লিখতে রয় বাকি!
ভাবার অভ্যাসেতে রপ্ত রাখো নিজ জীবনের সেই রসদ,
হাল্কা প্রেমের কাব্য লেখো? অমন বিষয় হয় না পছন্দ?
কখনও কি পাও না সময়? কাঁদে না কি তোমার মন?
একদিন ‘ বলো দাঁড়াই পাশে’- যাঁরা করে আন্দোলন?
এমন করে গোটা বছর জুড়ে ছুটে আসে গিন্নির প্রশ্নবাণ,
চেষ্টা করি বাঁচাতে সে তীরের থেকে নিজেকে আপ্রাণ!
জানি তিনি ঘরেই থাকেন, তবু কিন্তু খবর রাখেন সব!
অথচ বাইরে ঘোরা মানুষ আমি মাথামোটা, কী আজব!
এতবছর ঘর করেও তাঁর স্বভাব যে আমার অজানা!
কবিতার চোখে দিচ্ছি আলো,অথচ ছিলাম ঘোর কানা!
শেষে কবিতা লিখে দেখাই,বলি– এবার চাইছি মাফ!
তোমার ভালোবাসায় পারলে ধুয়ে দিও আমার পাপ!
ওমা! একি! এগিয়ে আসেন জড়িয়ে গায়ে শীতের শাল!
হঠাৎ কিসের শব্দে লাজে রাঙা হয়ে ওঠে আমার গাল!
আনন্দে গদগদ হয়ে লাফাই! হঠাৎ দেখি কী এক গেরো!
বলেন- এটা তোফা লেখার জন্য! এবার তুমি পাশ ফেরো!