ভয়াল ভ্রমণ
ভয়াল ভ্রমণ
ভয়াল ভ্রমণ
মানিক চন্দ্র গোস্বামী
ছোট্ট বেলায় ভ্ৰমণপ্রেমী বাবা-মায়ের সাথে,
পুজোর ছুটির শেষের দিকে, কয়েকটা দিন হাতে,
বেড়িয়েছিলাম সদলবলে পাহাড় ভ্রমণ আশে,
মনের মাঝে উত্তেজনার নীরব খুশি হাসে।
পাহাড় চূড়ায় দেখতে পাবো বিশ্ব জগৎটাকে,
সূর্যোদয়ের সোনার ছবি মনের মাঝে এঁকে,
মেঘের দেশে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে মনে গেঁথে,
ভেসেছিলাম বাঁধ ভাঙা এক বিরল খুশির স্রোতে।
শান্ত - শিষ্ট পরিবেশটি হঠাৎ চোখের পলকে,
বদলে গিয়ে ভারী হলো, মেঘ জমলো দিকে।
জঞ্ঝা এসে শীতের প্রকোপ বাড়িয়ে দিলো নিমেষে,
হাড়ের কাঁপন বেড়ে গেলো শীতল জোলো বাতাসে।
আবহাওয়াটা পাল্টে গেলো, বৃষ্টি নামলো জোরে,
জলের ধারায়, ঘূর্ণি হাওয়ায়, সংক্রান্তি শিরে।
তুষার ধ্বসে ভেঙে গেছে পাহাড়ি পাকদন্ডী,
0);">কয়েক শত পর্যটকে গাড়ির খাঁচায় বন্দি।
আটকে আছি সড়ক 'পরে, দু'তিন দিন হবে,
সাথে আনা হালকা খাবার শেষ হয়েছে কবে।
পরিজনে চিন্তাগ্রস্ত, আমার মনে ভয়,
বাঁচা-মরার সীমানাতে হতাশার হলো জয়।
ভগবানের অশেষ দয়া, পাঠালেন দেবদূত,
সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারীর দক্ষতা অদ্ভুত।
অল্প সময়ে সারিয়ে তোলেন রাস্তার ক্ষতগুলো,
নিমেষের মাঝে ভাঙা পথটি অতীত ফিরে পেলো।
সময়মতো খাবার খাইয়ে অভুক্ত মানুষ জনে,
নতুন করে বাঁচার আশা এনে দিলো ভাঙা প্রাণে।
দাঁড়িয়ে থেকে এক এক করে আটকে যাওয়া গাড়ি,
ধীরে ধীরে খুশি মনে সমতলে দেয় পাড়ি।
নিজের জীবন বিপন্ন করে অসহায়ের পাশে,
সহায়তার হাতটি বাড়ায় সহাস্যে, অক্লেশে।
কর্মপটু বীর জওয়ানে ফিরিয়ে দিলো জীবন,
ধন্যবাদটা যথেষ্ট নয়, মস্তক করি নমন।