খোকার খুশি
খোকার খুশি
খোকার খুশি
মানিক চন্দ্র গোস্বামী
ছিপটি ফেলে পুকুর জলে,
চুপটি বসে দাদুর কোলে,
অবাক চোখে দেখছে খোকা,
মাছগুলো যে বেজায় বোকা।
খাওয়ার লোভে বড়শিটাকে,
কপাৎ করে গিলছে তাকে,
খেতে গিয়ে গলায় কাঁটা,
বিঁধলো গিয়ে সোজা-সাপ্টা।
যতই তারে সরাতে চেয়ে,
ঝাপ্টা মারে নানা উপায়ে,
ততই যেনো শক্ত হয়ে,
কামড়ে ধরে মাছের গায়ে।
পালাবার পথ পায়না খুঁজে,
দেখছে খোকন মুখটি বুজে,
দাপট কত জলের মাঝে,
বড়শি ভাঙার উপায় খোঁজে।
এমন জোরে গেছে গেঁথে,
মরণ দেখছে জীবন পথে,
দাদুর খুশি লাগাম ছাড়া,
খোকনের চোখ ছানাবড়া।
হ্যাঁচকা টানে পাড়ের ওপর,
মাছটি তুলে দাদুর নজর
পড়লো গিয়ে মাছের দিকে,
তাকিয়ে আছে কাতর চোখে।
খোকন সোনার মুখে চেয়ে,
মাছের, অশ্রু ঝরে দুচোখ বেয়ে,
বলছে যেনো তারই পাশে,
তার নাতিরা থাকে ভেসে।
বায়না খোকার মাছকে ছাড়ো,
নইলে, নাতি মাছেরা কাঁদবে বড়।
দাদুর বড়ো দয়ার শরীর,
বড়শিটাকে করেন বাহির,
মাছটিকে ফের জলে ছেড়ে,
ছিপ গোটালেন ত্বরা করে।
নতুন জীবন ফিরে পেয়ে,
জলে ভাসলো এলিয়ে গায়ে,
স্বাধীন মাছের সাঁতার দেখে,
খোকার খুশি উঠলে ওঠে।
