অপুর অপর্ণা
অপুর অপর্ণা
হঠাৎ করে আমার ধুতির সাথে বেধে দিলো তোমার শাড়ি,
এবার আমায় ঘরে ফিরতে হবে তোমায় নিয়ে নারী।
আমার ভাঙা ঘর, না আছে গাড়ি ......
আর এসব দেখে যদি তুমি করে বসো আড়ি?
খানিক দুশ্চিন্তার ব্যথায় , তুমি দিলে স্বস্তির মলম
বললে তুমি সাথি হবে , যেমন দুর্দিনে কবির কলম।
সাথে সে এল আমার নিয়ে ঘর বাঁধার গল্প
ও বাড়ির মেয়েটা বুঝি জ্বলে অল্পসল্প।
সাত সকালে উঠেই সে উনুনে মন রাখে...
একটুখানি হলেম অবাক ,
বুঝলাম সে মায়ের মতন রাঁধে।
পূর্বের জানালার ওই ছেঁড়া পর্দাটা ফেলে
দিয়েছে সে আদর মাখা রঙিন স্বপ্ন মেলে ।
আজকাল আমার ঘরে আবার জোনাকি পোকাও আসে...
নারীর স্পর্শ পেলে বুঝি সকল কুটির হাসে ।
অভ্যেসের দাশ আমি ধোঁয়া জ্বালাই রোজ সকালে,
হয়েছে নিষিদ্ধ তা...
লেখা আছে প্যাকেটের দেওয়ালে ।
''কথা দিয়েছ খাবার পর একটা করে খাবে ʼʼ
- এমন নেশায় পড়লে কি কেউ আর তামাকের কথা ভাবে ।
চোখের কাজল তার, কলমের কলঙ্কের চেয়েও কালো ....
মনে খানিক সন্ধ্যে নামলেই ,সে ঘরে জ্বালে আলো ।
খবর এসেছে আজ,
আমরা হব দু'থেকে তিন
লিখছি আর গুনছি বসে হাতে কয়েকদিন।
তার আমার মাঝে এখন কয়েক জমির দূরত্ব,
আনন্দে মনে বৃষ্টি নামে...
ভাবি দিনগুলো তাড়াতাড়ি ফুরোক তো ।
আজ এসেছে চিঠি ঠিক দু'দিন পর,
আমায় সে করে শাসন রোজ বরাবর ।
আমাকে না দেখার ব্যথা রোজ তার মনে জাগে....
পাশের বাড়ির মেয়েটা আমায় দেখছে কি না তা নিয়েও ভাবে ।
অভিমানী, চঞ্চল,মায়াবী সে আমার অপর্না ...
যেমন লক্ষ্মীপুজোয় আঁকা মায়ের হাতের আল্পনা ..
সে আমার প্রথম প্রেম তাকে আঁকি কবিতায় ,
এখনো তোমার চোখে কাজল খুঁজি তোমার শেষ ছবিটায়।