অমানুষ সন্তান!
অমানুষ সন্তান!
ছোট থেকে যেই বাবা-মা করল তোকে বড়
সেই বাবা, মাকেই বলছিস আজ জীবন থেকে সরো!
যেই বাবা একদিন নিজে না খেয়ে আনত তোর খাবার
সেই বাবাকেই আজ খাবার দিতে খরচের খোঁটা দিস বারবার!
যেই মা একদিন তোকে বাঁচাতে সহ্য করেছিল জঠর যন্ত্রণা
সেই মাকেই আজ বলছিস তুই, "কেন বুড়ি তুই মরছিস না! "
যেই বাবা তার নিজের সখ, বিদায় দিয়েছিল তোর সনে
সেই বাবাকেই আবর্জনার মতো ফেলে দিস ঘরের ডাস্টবিনে!
যেই মা তোর শরীর খারাপে থাকত জেগে রাত কত
সেই মাইই আজ অসুস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে মরার মতো!
যেই বাবার কোলে ঘুরতিস তুই, দেখতিস এদিক ওদিক
সেই বাবাকেই পঙ্গু করে খুঁজিস বৃদ্ধাশ্রম দিগ্বিদিক!
যেই মায়ের কাছে চোট পেলেই তুই আসতিস কেঁদে ছুটে
সেই মাকেই মারছিস তুই, কোপাচ্ছিস মাথা কেটে!
যেই বাবা-মা নিজের জীবনপাতে শেখাল তোকে লেখাপড়া
কষ্টে থেকেও স্বপ্ন ছিল তোকে নিয়ে জীবনভরা!
মনে কি পড়ে না তোর মায়ের স্নেহ আর বাবার নিবিড় শাসন?
মায়ের কোল আর বাবার বুকেই যে ছিল তোর সিংহাসন!
তোর জন্য এককালে কতটা কষ্ট করেছে তোর মা
ভুলে যদি যাস তবে দিচ্ছি বিষ, এটা এখনই তুই খা!
বেঁচে থাকার দরকার নেই, তোর মতো কুলাঙ্গারের
যে নিজের মা বাবা কে কষ্ট দেয় চরম অত্যাচারের!
মা বাবা নেই যার তারাই বোঝে এই চরম ব্যথা
ওরে অমানুষ সন্তান তোর কি কানে যাচ্ছে আমার কথা?
মা বাবা পেয়েও তারে করিস তুই কেন হেলা?
ভুলে তুই যাস কেন, তোকে নিয়ে তো তারাও করতে পারত খেলা!
কিন্তু তোকে বুকে আঁকড়ে সবকিছু দিয়েছিল বিসর্জন
আর আজ তাই তোর হয়েছে, অমানুষিক পরিবর্তন!
করিস তুই তাই ঈশ্বরসম বাবা মা কে নির্যাতন
ভাবিস না তুই এভাবেই যাবে তোরও সারাটা জীবনক্ষণ!
শুধু এখানেই তো নয় শেষ, পাঠাস তাদের বৃদ্ধাশ্রম
তোদের মতো অমানুষদের যেন চরম শাস্তি দেয় যম!
মা বাবা হলো ঈশ্বর, তাদের ভক্তি, যত্ন কর
না করলে তুই ভাবতেও পারছিস না, তোর জীবনে কি আসবে ঝড়!