সভ্যতার অবক্ষয় !
সভ্যতার অবক্ষয় !
একদা গুহায় , অরণ্যে থাকত যারা
আদিম যুগের মানুষ ছিল তারা ।
তখন বেঁচে থাকার তরে
আদিম মানুষ করত
লড়াই পশুর সনে।
বুদ্ধিবলে পেল একদিন
তারা আলোর দিশা ।
অরণ্যের ঠিকানা পিছনে ফেলে
তারা বসত গড়ল নদীর কূলে ।
কর্ষন করল মাটি , ফলাল ফসল
যেন নবযুগ জগতের সূচিত হল ।
ক্রমশঃ সভ্য হল মানুষ
লোপ পেল তাদের সমস্ত হুঁশ
— বাধাল সাম্রাজ্য বিস্তারের লড়াই
সেই লড়াই - এ কারো মুখে ফুটল হাসি , কারো বা কান্নায় বানভাসি ।
কোনো দেশ হলো স্বাধীন ,
আবার কোনো দেশ পরাধীন ।
পরাধীনতার গ্লানি মোচন করতে
জন্মালেন বহু মনীষী ,বিপ্লবী এ পৃথিবীতে।
কেউ গাইলেন মানবতার জয়গান ,
কেউ বা দেশের তরে রাখলেন জীবন পণ । অবশেষে রক্তের বিনিময়ে এলো স্বাধীনতা কিন্তু চিরতরে হারালো মানবতা ।
আজ সভ্যতার গর্বে মানুষ গর্বিত
তাই হারাতে বসেছে শিষ্ঠতা , ভব্যতা । অবক্ষয়িত সমাজে , নীতিহীনতার সভ্যতা।
চলমান চারিদিকে শকুনেরা
ওৎপেতে আছে যেন
কখন মহাকাল এসে পৃথিবীতে ঘটাবে প্রলয়। সেই প্রলয়ের স্তূপ থেকে
— লোভনীয় আহার সংগ্রহ করে
—তাদের বাসনাকে করবে পরিতৃপ্ত ।
সভ্যতার এই চরম সংকটময় কালে ছাত্রসমাজ , যুবসমাজকে জাগতে হবে । তারাই পারবে মানবতার মন্ত্রে
দীক্ষিত হয়ে অবক্ষয়িত সমাজকে বাঁচাতে
আর অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে ।
