বাড়িতেই মাহিসমতি
বাড়িতেই মাহিসমতি
আচ্ছা আপনার আমার বাড়ি যদি মাহিসমতির মতো কোনো এক জায়গায় হতো ? না সেদিন রক্তিমদের বাড়ি রীতিমতো মাহিসমতি হয়ে উঠেছিলো । না তেমন কিছু না । লোহার ট্যাঙ্ক , এধার ওধার গেছে ফেটে কিন্তু পুরোপুরি সরিয়ে ভাড়া বেঁধে দড়ির সাথে নামানো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিলো ।
রক্তিম হঠাৎ স্নান করতে যাবে দেখে জল বন্ধ । আন্দাজ করে ছাদে গেলো । মা , বাবা আর জেঠু রয়েছেন জনাদুই মজুরকে নিয়ে । প্রায় আধঘন্টাখানেক চেষ্টা করেও ওই ট্যাঙ্কের ভিত টলানো গেলো না । বডি বিল্ডার হিসাবে রক্তিমের ভালোই নাম । গায়ের জোর অপরিসীম কিন্তু প্রমাণ দেখানোর সুযোগ পায়নি ।
" মা শাবলটা দাও দেখি ! "
" তুই আবার কী করবি ? ওই তো ওই ছেলেটার কাছে শাবল । "
" দেখোই না কী করি । "
সব্বাইকে চমকে দিয়ে মজবুত সিমেন্ট দিয়ে তৈরী ট্যাঙ্কের ভিত টলে গেলো । একটা শাবলের কোপে টলে গেলো ওই ট্যাঙ্ক । বাবা স্বপনবাবুর ফোনে তখন " কউন হ্যা ভো " রিংটোনটা বেজে উঠলো । কাকে যেন " রাখ , পরে করছি " বলে ফোন রেখে অবাক হয়ে দেখতে লাগলেন তিনি ।
মা কণিকা দেবীর মুখে অস্ফুটে মহেন্দ্র বেরোতেই রক্তিম ট্যাঙ্কটা তুলে ভাড়ায় বাঁধা দড়ির কাছ অবধি নিয়ে গেলো । অত্ত ভারী ট্যাঙ্ক কাঁধে ওঠার জন্য যেটুকু সময় নিলো তারমধ্যে মায়ের বাহুবলী কথাটা বেরিয়ে এলো অচিরেই ।
বাঁধা হয়ে গেলে দেওয়াল দিয়ে ট্যাঙ্ক নামতে লাগলো ।
কার বাড়ি বাহুবলী হচ্ছিলো । কে জানে জোর ভলুম করে দিয়েছিলো তাই হঠাৎ জয় মাহিসমতি শোনা গেলো ।