বুড়ো আঙ্গুল উঁচিয়ে
বুড়ো আঙ্গুল উঁচিয়ে
" ও কাকা ওটা প্রস্রাবের জায়গা নাকি ? শৌচালয় তো ওই তো কাছেই । " টিফিন টাইমে নন্টে স্কুলের ব্যালকনিতে দেখেই চেঁচিয়ে উঠলো ।
দিব্যি লোকটা স্কুলের দেওয়ালে প্রস্রাব করে চলে যায় । গ্রামীণ সরকারি স্কুল , অত মেন্টেনের লোক কই ! কিন্তু নন্টে ফন্টে নিজের স্কুলকে খুব ভালোবাসে , ওরা এমন বেয়াদপি সহ্য করবে কেন ? আজ ৩ দিন হলো লোকটা এমনি করছে । হেডমাস্টার মশাই বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে ব্যস্ত , কথা বলার জো নেই ।
স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার সময় নন্টে বললো , " ফন্টে আমাদের বাড়ির পাশে ভোলা দার কুকুরটা আজকাল খুব টয়লেট করছে না ? "
" হ্যাঁ , শুনলাম নাকি পশুর ডাক্তার বলেছে ওর সুগার হয়েছে হাই । "
" হুমম । কেন বলতো ? "
" স্কুলের সামনে রোজ একটা পাজি লোক টয়লেট করে যায় , আমি রোজ বারণ করি কিছুতেই শোনে না এত্ত ত্যাঁদর । "
" হ্যাঁ তাই জন্য দেওয়ালটা হলদে ছাপ পড়ছে । তোর প্ল্যান বুঝে গেছি । ওই কুকুরটাকে নিয়ে এসে জল খাইয়ে ওই লোকটার পিছনে লেলিয়ে দিবি তো ? "
" একদম ঠিক ধরেছিস । "
ছোট্ট সাইজ হওয়ায় কুকুরটাকে ব্যাগে পুরে নিয়ে চলে এলো নন্টে । ফন্টে টুক করে নিয়ে এসেছিলো ভোলা দাকে বলে । ঠিক সময়ে টিফিন টাইমে এসে লোকটা দুষ্কর্মে লিপ্ত হলো । ফন্টের জল খাইয়ে কুকুরটাকে রেডি করাই ছিলো । ব্যস সুযোগ বুঝে গেটের সামনে এসে লোকটাকে দেখিয়ে ছেড়ে দিলো ।
ব্যস প্যান্টের চেন খুলবে কি কুকুরটা গায়ে ছড়ছড়িয়ে প্রস্রাব করে দিলো । আরও করতো লোকটা দৌড়ে পালালো তাই । এমনকি আঁচড়েও দিতে যাচ্ছিলো । পাঁই পাঁই করে পালালো লোকটা ।
বুড়ো আঙ্গুল উঁচিয়ে দিলো ফন্টে নন্টের দিকে ।