প্রত্যাখ্যান
প্রত্যাখ্যান
বারবার তোমার সামনে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলিয়ে রেখে
নিরুদ্দেশে ঠিকানা হারিয়েছি বহুবার
অস্ফুট জবারঙা পাপড়িতে
যখন বাণ ডাকলো প্রলয়ের
তুমি সাড়া দাও নি কোনোদিন
ভীষণ ভীষণ ভাবে চেয়েছিলাম
আমিও স্নান করবো জলে
তীব্র অবগাহন
প্রবল স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যাক আমাকেও
ধূসর ধোঁয়াটে অস্বচ্ছ আবেগে
ভেসে যাক ! ভেঙ্গে যাক! ধ্বংস হোক! ধ্বংস হোক সব
ধ্বংসের ভেতরেই থাকে সৃষ্টির বীজ
উন্মুক্ত আকাশে তারাদের ভিড়ে
এক ধ্রুবোতারা হবার দুঃসাহসে
একে একে নিভিয়েছি
তোমার আকাশে সতীন তারাদের!
চাঁদকেও শত্রুভাবাপন্ন মনে
দিয়েছি অভিশাপ!
অজানা মেঘে চেয়েছি ঢেকে যাক
বারবার চাঁদের ঐ চাঁদপানা মুখ
তুমি শুধু আমাকে দেখো
লাল রঙে গভীরতার গন্ধে
অসহ্য রহস্যে অস্থিরতায় ডুবে যাও
গভীর নির্জন
সম্পূর্ণ নিমজ্জন
এইটুকু! আর কিছু নয়
তুমি ফিরে গেলে
এলোনা বৃষ্টি আমার আকাশ জুড়ে
প্রত্যাখ্যাত আমি
একে একে পাপড়ি শুকিয়ে ঝরে পড়ল
নিভে গেল ধ্রুবতারা
জানো নাকি ?
জবা ফুলের গর্ভকোষ নিষ্ফলা
যেমন নিষ্ফলা আমার আহ্বান
আর জন্মে আমি শেয়ালকাঁটা হব
অথবা ফনিমনসা
অথবা অন্য কোন কাঁটাওয়ালা গাছ
তবে আর যাই হই
কখনো জবা হব না
ও রূপের না আছে গন্ধ
না আছে মুগ্ধতা
তা না হলে কি তুমি এভাবে
মুখ ফিরিয়ে নিতে বল?
পারতে কি এভাবে
ফিরিয়ে নিতে মুখ?