Humayra Jannat Mim

Abstract Romance

4  

Humayra Jannat Mim

Abstract Romance

তোমার সাথে বেধেছি আমার প্রাণ

তোমার সাথে বেধেছি আমার প্রাণ

8 mins
361



লেখনীতেঃ হুমায়রা জান্নাত মীম 

পর্ব-১


★★ " মীম, কি করছিস মা! কেবল পরীক্ষা দিয়ে এলি একটু জিরো তারপর নাহয় প্রশ্ন মেলাবি।" মীমের হাত থেকে বই নিয়ে বললেন মেঘনা বেগম।

" আম্মা, তুমি বুঝতে পারছো না। আমার দুইটা এম.সি.কিউ মিলে নি। সেগুলো মেলাতে হবে তো।"

" পরে মেলালে কি এমন ক্ষতি হবে? রাখ, তো। যা হাত-মুখ ধুয়ে খেতে আয়।"

মেঘনা বেগমের আদেশ শুনে অগত্য মীমকে উঠে যেতে হলো।

মীম তার বাবা-মায়ের বড় মেয়ে। পুরো নাম হুমায়রা ইসলাম মীম। সবাই মীম নামে ডাকে। যেমন রূপে তেমন গুণে। পড়াশোনা, রান্না-বান্না সবদিক থেকে পারদর্শী। মীমের বাবা মিজান সাহেব একজন দরিদ্র মুদিদোকানদার৷ বউ, আর ৪ ছেলে-মেয়ের ভরণপোষণ চালাতেই হিমশিম খান। তবুও চেষ্টা করেন পরিবারকে তার সেরাটাই দেওয়ার। মীমরা তিন বোন এক ভাই। ভাই মিরাজ সবার বড়। পরে মীম। বাকি দুই বোন হলো ফাতিহা আর আফরোজা। মীম এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি সে খুব মনোযোগী। 


দুপুরের খাবার খাওয়ার পর মেঘনা বেগম মীমকে একটা টিফিন বক্স এগিয়ে দিয়ে বললেন, যা তো মীম। এটা তোর আব্বাকে দিয়ে আয়।মানুষটা সেই সকালে খেয়ছিল এখন অব্দি দানাপানি পেটে পড়ে নি।

" আব্বা, এখনো খান নি?"

" নারে, বোধহয় সময় পাচ্ছেন না। মিরাজটাও কই গেছে। তুই কষ্ট করে টিফিনটা দিয়ে আয়।".

" তাড়াতাড়ি দাও।" মীম টিফিনটা নিয়ে তাড়াতাড়ি হাটতে থাকে। হাটতে হাটতে ভাবতে থাকে, বাবারা, এই পৃথিবীর এক অদ্ভুত প্রাণী। নিজেকে আঘাত দিবে, সন্তানকে আঘাত থেকে বাঁচানোর জন্য। নিজে না খেয়ে থাকবে সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য। সেজন্যই বোধহয় বলে, জন্মদাতা হওয়া সহজ কিন্তু বাবা হওয়া সহজ নয়! এর জন্য অনেক ত্যাগ করতে হয়।


 মিজান সাহেবকে টিফিনটা দেওয়ার পর ফেরার পথে মীম দেখে রাস্তায় একটা পার্স পড়ে আছে। তার কিছু দূরে একজন ভদ্রমহিলা ওখানে থাকা একটা গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন।

পার্সটা হাতে নিয়ে মীম মনে মনে বলতে থাকে, পার্সটা বোধহয় ওনার। ওনাকে এটা দিয়ে আসি। এই মনে করে মীম ভদ্রমহিলাকে ডাক দেয়।

" দাদি! শুনছেন?"


আচমকা এক অচেনা কিশোরীর কন্ঠ শুনে চোখের চশমা ঠিক করে সামনে তাকান তাহেরা বেগম। ওনি এই হিরপুর গ্রামের চেয়ারম্যান শোয়েব হোসেনের মা। কিছু গয়না বানানোর জন্য গ্রামের এক স্যাকরার কাছে গিয়েছিলেন। বাড়ির ফেরার জন্য গাড়িতে উঠার সময় মীমের ডাক শুনে থামলেন।

মীম তাহেরা বেগমের কাছে এসে ওনার দিকে পার্সটা এগিয়ে দিয়ে বলেন, এই পার্সটা বোধহয় আপনার।

মীমের কথা শুনে তাহেরা বেগম তাকিয়ে দেখলেন সত্যি পার্সটা ওনার। এই পার্স পেয়ে মীম কি করে সেটা জানার জন্য তিনি বললেন, না। এটা আমার না।

" এটা আপনার নয়?"

" না।"

" এটা তোমার কি?"

" না, এটা আমি রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পেয়েছি। ভাবলাম এটা আপনার। এখন তো দেখছি আপনার নয়।"

" পার্সটার ভেতর কি আছে খোলে দেখেছো?"

" না।"

" দেখতে চাও না?"

" না। "

" কেন? অনেক দামী কিছু থাকতে পারে। তোমার কাজে লাগতে পারে।"

" থাকলে থাকুক। আমার মা-বাবা শিখিয়েছেন অন্যের জিনিস আত্মসাৎ করা আমানতের খেয়ানত। আর আল্লাহ আমানতের খেয়ানতকারীকে পছন্দ করেন না। প্রকৃত মুমিন আমানতের খেয়ানত করে না। বরং তা রক্ষা করে।"

মীমের কথা তাহেরা বেগম মুগ্ধ হয়ে শুনছেন।

তিনি বললেন, এখন এটা নিয়ে করবে?

" সত্যি তো কি করবো।"

" এক কাজ করো। এটা তুমিই নিয়ে নাও।কেউ তো কিছু জানতেই পারবে না।"

" না, না। তা হয় না। আমি সবাইকে ফাকি দিতে পারলেও আল্লাহকে কিভাবে ফাকি দেবো? ওনি তো ঠিকই দেখছেন। এটা আমি নিতে পারবো না। আমি বরং এটা কাছে কোথাও রেখে দিই। যার পড়েছে সে নিশ্চয়ই খুজতে আসবে।"

" তাহলে তুমি তাই করো।"


তাহেরা বেগমের সমর্থন পেয়ে মীম পার্সটাকে একটা ছোট দেয়ালের উপর রেখে দেয়। সেখান থেকে পার্সটা দেখা যায়। রেখে এসে সে বলে, আচ্ছা দাদি। আমি আসছি। আল্লাহ হাফেজ। 

" যাও। আল্লাহ হাফেজ।"

মীম খুশিমনে সেখান থেকে চলে যায়। মীম চলে যেতেই তাহেরা বেগম তার এক কর্মচারীকে ডেকে বলেন, মেয়েটা কে? কোথায় থাকে? কার মেয়ে। সব খবর আমার চাই।


চলবে.....গল্পঃ তোমার সাথে বেধেছি আমার প্রাণ

লেখনীতেঃ হুমায়রা জান্নাত মীম 

পর্ব-১


★★ " মীম, কি করছিস মা! কেবল পরীক্ষা দিয়ে এলি একটু জিরো তারপর নাহয় প্রশ্ন মেলাবি।" মীমের হাত থেকে বই নিয়ে বললেন মেঘনা বেগম।

" আম্মা, তুমি বুঝতে পারছো না। আমার দুইটা এম.সি.কিউ মিলে নি। সেগুলো মেলাতে হবে তো।"

" পরে মেলালে কি এমন ক্ষতি হবে? রাখ, তো। যা হাত-মুখ ধুয়ে খেতে আয়।"

মেঘনা বেগমের আদেশ শুনে অগত্য মীমকে উঠে যেতে হলো।

মীম তার বাবা-মায়ের বড় মেয়ে। পুরো নাম হুমায়রা ইসলাম মীম। সবাই মীম নামে ডাকে। যেমন রূপে তেমন গুণে। পড়াশোনা, রান্না-বান্না সবদিক থেকে পারদর্শী। মীমের বাবা মিজান সাহেব একজন দরিদ্র মুদিদোকানদার৷ বউ, আর ৪ ছেলে-মেয়ের ভরণপোষণ চালাতেই হিমশিম খান। তবুও চেষ্টা করেন পরিবারকে তার সেরাটাই দেওয়ার। মীমরা তিন বোন এক ভাই। ভাই মিরাজ সবার বড়। পরে মীম। বাকি দুই বোন হলো ফাতিহা আর আফরোজা। মীম এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি সে খুব মনোযোগী। 


দুপুরের খাবার খাওয়ার পর মেঘনা বেগম মীমকে একটা টিফিন বক্স এগিয়ে দিয়ে বললেন, যা তো মীম। এটা তোর আব্বাকে দিয়ে আয়।মানুষটা সেই সকালে খেয়ছিল এখন অব্দি দানাপানি পেটে পড়ে নি।

" আব্বা, এখনো খান নি?"

" নারে, বোধহয় সময় পাচ্ছেন না। মিরাজটাও কই গেছে। তুই কষ্ট করে টিফিনটা দিয়ে আয়।".

" তাড়াতাড়ি দাও।" মীম টিফিনটা নিয়ে তাড়াতাড়ি হাটতে থাকে। হাটতে হাটতে ভাবতে থাকে, বাবারা, এই পৃথিবীর এক অদ্ভুত প্রাণী। নিজেকে আঘাত দিবে, সন্তানকে আঘাত থেকে বাঁচানোর জন্য। নিজে না খেয়ে থাকবে সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য। সেজন্যই বোধহয় বলে, জন্মদাতা হওয়া সহজ কিন্তু বাবা হওয়া সহজ নয়! এর জন্য অনেক ত্যাগ করতে হয়।


 মিজান সাহেবকে টিফিনটা দেওয়ার পর ফেরার পথে মীম দেখে রাস্তায় একটা পার্স পড়ে আছে। তার কিছু দূরে একজন ভদ্রমহিলা ওখানে থাকা একটা গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন।

পার্সটা হাতে নিয়ে মীম মনে মনে বলতে থাকে, পার্সটা বোধহয় ওনার। ওনাকে এটা দিয়ে আসি। এই মনে করে মীম ভদ্রমহিলাকে ডাক দেয়।

" দাদি! শুনছেন?"


আচমকা এক অচেনা কিশোরীর কন্ঠ শুনে চোখের চশমা ঠিক করে সামনে তাকান তাহেরা বেগম। ওনি এই হিরপুর গ্রামের চেয়ারম্যান শোয়েব হোসেনের মা। কিছু গয়না বানানোর জন্য গ্রামের এক স্যাকরার কাছে গিয়েছিলেন। বাড়ির ফেরার জন্য গাড়িতে উঠার সময় মীমের ডাক শুনে থামলেন।

মীম তাহেরা বেগমের কাছে এসে ওনার দিকে পার্সটা এগিয়ে দিয়ে বলেন, এই পার্সটা বোধহয় আপনার।

মীমের কথা শুনে তাহেরা বেগম তাকিয়ে দেখলেন সত্যি পার্সটা ওনার। এই পার্স পেয়ে মীম কি করে সেটা জানার জন্য তিনি বললেন, না। এটা আমার না।

" এটা আপনার নয়?"

" না।"

" এটা তোমার কি?"

" না, এটা আমি রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পেয়েছি। ভাবলাম এটা আপনার। এখন তো দেখছি আপনার নয়।"

" পার্সটার ভেতর কি আছে খোলে দেখেছো?"

" না।"

" দেখতে চাও না?"

" না। "

" কেন? অনেক দামী কিছু থাকতে পারে। তোমার কাজে লাগতে পারে।"

" থাকলে থাকুক। আমার মা-বাবা শিখিয়েছেন অন্যের জিনিস আত্মসাৎ করা আমানতের খেয়ানত। আর আল্লাহ আমানতের খেয়ানতকারীকে পছন্দ করেন না। প্রকৃত মুমিন আমানতের খেয়ানত করে না। বরং তা রক্ষা করে।"

মীমের কথা তাহেরা বেগম মুগ্ধ হয়ে শুনছেন।

তিনি বললেন, এখন এটা নিয়ে করবে?

" সত্যি তো কি করবো।"

" এক কাজ করো। এটা তুমিই নিয়ে নাও।কেউ তো কিছু জানতেই পারবে না।"

" না, না। তা হয় না। আমি সবাইকে ফাকি দিতে পারলেও আল্লাহকে কিভাবে ফাকি দেবো? ওনি তো ঠিকই দেখছেন। এটা আমি নিতে পারবো না। আমি বরং এটা কাছে কোথাও রেখে দিই। যার পড়েছে সে নিশ্চয়ই খুজতে আসবে।"

" তাহলে তুমি তাই করো।"


তাহেরা বেগমের সমর্থন পেয়ে মীম পার্সটাকে একটা ছোট দেয়ালের উপর রেখে দেয়। সেখান থেকে পার্সটা দেখা যায়। রেখে এসে সে বলে, আচ্ছা দাদি। আমি আসছি। আল্লাহ হাফেজ। 

" যাও। আল্লাহ হাফেজ।"

মীম খুশিমনে সেখান থেকে চলে যায়। মীম চলে যেতেই তাহেরা বেগম তার এক কর্মচারীকে ডেকে বলেন, মেয়েটা কে? কোথায় থাকে? কার মেয়ে। সব খবর আমার চাই।


চলবে.....গল্পঃ তোমার সাথে বেধেছি আমার প্রাণ

লেখনীতেঃ হুমায়রা জান্নাত মীম 

পর্ব-১


★★ " মীম, কি করছিস মা! কেবল পরীক্ষা দিয়ে এলি একটু জিরো তারপর নাহয় প্রশ্ন মেলাবি।" মীমের হাত থেকে বই নিয়ে বললেন মেঘনা বেগম।

" আম্মা, তুমি বুঝতে পারছো না। আমার দুইটা এম.সি.কিউ মিলে নি। সেগুলো মেলাতে হবে তো।"

" পরে মেলালে কি এমন ক্ষতি হবে? রাখ, তো। যা হাত-মুখ ধুয়ে খেতে আয়।"

মেঘনা বেগমের আদেশ শুনে অগত্য মীমকে উঠে যেতে হলো।

মীম তার বাবা-মায়ের বড় মেয়ে। পুরো নাম হুমায়রা ইসলাম মীম। সবাই মীম নামে ডাকে। যেমন রূপে তেমন গুণে। পড়াশোনা, রান্না-বান্না সবদিক থেকে পারদর্শী। মীমের বাবা মিজান সাহেব একজন দরিদ্র মুদিদোকানদার৷ বউ, আর ৪ ছেলে-মেয়ের ভরণপোষণ চালাতেই হিমশিম খান। তবুও চেষ্টা করেন পরিবারকে তার সেরাটাই দেওয়ার। মীমরা তিন বোন এক ভাই। ভাই মিরাজ সবার বড়। পরে মীম। বাকি দুই বোন হলো ফাতিহা আর আফরোজা। মীম এবার এস.এস.সি পরীক্ষা দিচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি সে খুব মনোযোগী। 


দুপুরের খাবার খাওয়ার পর মেঘনা বেগম মীমকে একটা টিফিন বক্স এগিয়ে দিয়ে বললেন, যা তো মীম। এটা তোর আব্বাকে দিয়ে আয়।মানুষটা সেই সকালে খেয়ছিল এখন অব্দি দানাপানি পেটে পড়ে নি।

" আব্বা, এখনো খান নি?"

" নারে, বোধহয় সময় পাচ্ছেন না। মিরাজটাও কই গেছে। তুই কষ্ট করে টিফিনটা দিয়ে আয়।".

" তাড়াতাড়ি দাও।" মীম টিফিনটা নিয়ে তাড়াতাড়ি হাটতে থাকে। হাটতে হাটতে ভাবতে থাকে, বাবারা, এই পৃথিবীর এক অদ্ভুত প্রাণী। নিজেকে আঘাত দিবে, সন্তানকে আঘাত থেকে বাঁচানোর জন্য। নিজে না খেয়ে থাকবে সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য। সেজন্যই বোধহয় বলে, জন্মদাতা হওয়া সহজ কিন্তু বাবা হওয়া সহজ নয়! এর জন্য অনেক ত্যাগ করতে হয়।


 মিজান সাহেবকে টিফিনটা দেওয়ার পর ফেরার পথে মীম দেখে রাস্তায় একটা পার্স পড়ে আছে। তার কিছু দূরে একজন ভদ্রমহিলা ওখানে থাকা একটা গাড়িতে উঠতে যাচ্ছেন।

পার্সটা হাতে নিয়ে মীম মনে মনে বলতে থাকে, পার্সটা বোধহয় ওনার। ওনাকে এটা দিয়ে আসি। এই মনে করে মীম ভদ্রমহিলাকে ডাক দেয়।

" দাদি! শুনছেন?"


আচমকা এক অচেনা কিশোরীর কন্ঠ শুনে চোখের চশমা ঠিক করে সামনে তাকান তাহেরা বেগম। ওনি এই হিরপুর গ্রামের চেয়ারম্যান শোয়েব হোসেনের মা। কিছু গয়না বানানোর জন্য গ্রামের এক স্যাকরার কাছে গিয়েছিলেন। বাড়ির ফেরার জন্য গাড়িতে উঠার সময় মীমের ডাক শুনে থামলেন।

মীম তাহেরা বেগমের কাছে এসে ওনার দিকে পার্সটা এগিয়ে দিয়ে বলেন, এই পার্সটা বোধহয় আপনার।

মীমের কথা শুনে তাহেরা বেগম তাকিয়ে দেখলেন সত্যি পার্সটা ওনার। এই পার্স পেয়ে মীম কি করে সেটা জানার জন্য তিনি বললেন, না। এটা আমার না।

" এটা আপনার নয়?"

" না।"

" এটা তোমার কি?"

" না, এটা আমি রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পেয়েছি। ভাবলাম এটা আপনার। এখন তো দেখছি আপনার নয়।"

" পার্সটার ভেতর কি আছে খোলে দেখেছো?"

" না।"

" দেখতে চাও না?"

" না। "

" কেন? অনেক দামী কিছু থাকতে পারে। তোমার কাজে লাগতে পারে।"

" থাকলে থাকুক। আমার মা-বাবা শিখিয়েছেন অন্যের জিনিস আত্মসাৎ করা আমানতের খেয়ানত। আর আল্লাহ আমানতের খেয়ানতকারীকে পছন্দ করেন না। প্রকৃত মুমিন আমানতের খেয়ানত করে না। বরং তা রক্ষা করে।"

মীমের কথা তাহেরা বেগম মুগ্ধ হয়ে শুনছেন।

তিনি বললেন, এখন এটা নিয়ে করবে?

" সত্যি তো কি করবো।"

" এক কাজ করো। এটা তুমিই নিয়ে নাও।কেউ তো কিছু জানতেই পারবে না।"

" না, না। তা হয় না। আমি সবাইকে ফাকি দিতে পারলেও আল্লাহকে কিভাবে ফাকি দেবো? ওনি তো ঠিকই দেখছেন। এটা আমি নিতে পারবো না। আমি বরং এটা কাছে কোথাও রেখে দিই। যার পড়েছে সে নিশ্চয়ই খুজতে আসবে।"

" তাহলে তুমি তাই করো।"


তাহেরা বেগমের সমর্থন পেয়ে মীম পার্সটাকে একটা ছোট দেয়ালের উপর রেখে দেয়। সেখান থেকে পার্সটা দেখা যায়। রেখে এসে সে বলে, আচ্ছা দাদি। আমি আসছি। আল্লাহ হাফেজ। 

" যাও। আল্লাহ হাফেজ।"

মীম খুশিমনে সেখান থেকে চলে যায়। মীম চলে যেতেই তাহেরা বেগম তার এক কর্মচারীকে ডেকে বলেন, মেয়েটা কে? কোথায় থাকে? কার মেয়ে। সব খবর আমার চাই।


চলবে.....


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract