তিথির জন্মদিন
তিথির জন্মদিন
আজ তিথির জন্মদিন। সকাল থেকেই তাই তিথির মা রান্নাঘরে তিথির পছন্দের খাবারগুলো বানাতে ব্যস্ত। স্মৃতিকণাদেবী পাশের ঘর থেকে বললেন,” বৌমা তোমার রান্না কতদূর? তিথির সাজগোজ কিন্তু প্রায় কমপ্লিট। ওকে এরপর আশীর্বাদ করে খেতে দিতে হবে তো।“
তিথির মা বললেন,” এই যে মা, প্রায় হয়ে এসেছে।“
তিথির বাবা মনজিনিস থেকে কেনা সুন্দর কেক টার উপর মোমবাতি সাজাতে সাজাতে স্মৃতিকণাদেবীকে বলল,” মা এই কেকটা তিথির খুব পছন্দ হবে, বলো।?”
রান্না হয়ে গিয়েছিল। তিথির মা থালায় সেগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছিলেন। স্মৃতিকণাদেবী তাঁর দিকে এগিয়ে গিয়ে মৃদু গলায় বললেন,” বৌমা, তুমি কি…”
“না,মা। আপনারা যান। আমি পারব না…” বলে আঁচলে মুখ চাপা দিয়ে দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেন তিথির মা।
হাতে খাবারের থালাটা ধরে ধীর পায়ে ঘরে ঢুকলেন স্মৃতিকণাদেবী। পাশে তিথির বাবা,হাতে কেক নিয়ে। আস্তে আস্তে স্মৃতিকণাদেবী বললেন,”তিথি খুব সুন্দর সেজেছে আজ, তাই না রে খোকা?”
সজল চোখে তারা দুজনে তাকিয়ে রইলেন জুঁইফুলের মালা দেওয়া তিথির মিষ্টি হাসিমুখের ছবিটার দিকে। তিন বছর আগে এই দিনেই স্কুল থেকে ফেরার পথে কয়েকটা পশু তাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে খুন করে। বাড়ি ফিরে কেক কাটা আর হয়নি সেদিন মেয়েটার। সেই থেকে স্মৃতিকণাদেবীরা এইভাবেই প্রতিবছর তিথির জন্মদিন পালন করেন।