সংকল্প
সংকল্প
ছোটবেলা থেকেই প্রত্যেক বছর যখন শেষ হয় তখন পরের বছরের জন্য একটা সংকল্প করার চেষ্টা করি যে আগামী বছর এটা একদম করবো না বা এটাকে করতেই হবে।কিন্তু আখেরে গিয়ে দেখি বছরের শেষে সেটা তো ছাড়তে পারিই না উল্টে মনে হয় বেড়ে গেছে।
যেবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো সেই বছর সংকল্প করেছিলাম এই বছরে কোনো ভাবেই মাঠে খেলতে যাব না। ঐ বিকেলের দিকে খেলার সময়তেই যত পড়া রাখবো।প্রথম প্রথম দু চার দিন চললেও সেটা আর দীর্ঘস্থায়ী করতে পারি নি।উল্টে দেখলাম মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার আগের দিন আমি মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে গেছি।পরের দিন সকালে বাংলা পরীক্ষা।
আবার আর একটা ঘটনা না বললেই নয়।কলেজ পাশ করার পর বিভিন্ন সরকারী চাকরীর পরীক্ষা দেবার জন্য ফর্ম পূরণ করার দিন থেকেই সংকল্প করতাম যে কাল থেকে সব আড্ডা ইয়ার্কি বাদ দিয়ে পড়ার খুব প্রচেষ্টা করবো।কিন্তু সেই কাল আর সেই ভাবে ফিরে পাই নি।সন্ধ্যা হলেই বন্ধুদের সাথে ঐ হারুদার চায়ের দোকানে বসে জমিয়ে আড্ডাটা না দিলে যেনো দিনটাই বৃথা মনে হতো।এরকম অনেক কাহিনী আছে।
তবে এবারও প্রতি বারের মত একটা সংকল্প করতে চাই যে কারণে অকারণে মোবাইল ঘাটা ঘাটি করাটা বন্ধ করতেই হবে।নইলে দিনের বেশিরভাগ সময় ঐ ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য সোশাল মিডিয়াতে প্রচুর সময় নস্ট হয়ে যাচ্ছে।কতটা সফল হবো সেতো শুধু সময় বলবে।তবে আমরা বাঙ্গালীরা তো আশা নিয়েই বাঁচতে ভালোবাসি,সেই আশাতেই আমি রইলাম।পরের বছরের শেষে বলতে পারবো যে কতটা সফল হতে পারলাম।