বন্ধুত্বের স্মৃতি
বন্ধুত্বের স্মৃতি


যে সময়টা অতিক্রান্ত হয়েছে সেটাই বোধ করি অত্যন্ত সুখকর।কারণ সামনে কি আসতে চলেছে সেটা অদৃষ্টের হাতেই সীমাবদ্ধ।সেই রকমই আমাদের কলেজ জীবন ছিল অত্যন্ত আনন্দময়। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন নামজাদা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা অচেনা অজানা রাও কত সহজেই একাত্ম হয়ে যেতে পারে, তা আমাদের তিন বন্ধুকে না দেখলে বোঝা যেত না। প্রসেনজিৎ, ভাস্কর ও আমি।সে যেনো ছিল আমাদের হরিহর আত্মা।যেখানে যে কাজে দরকার হত এই তিন মূর্তি সর্বদাই হাজির থাকতো। মেলবন্ধন এতটাই ছিল যে অন্যরা আমাদের দেখে ঈর্ষা করত।ভেবেছিলাম কোনোদিন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতেই পারবো না।সেটা যে ভুল ভাবনা ছিল তা কিছু বছর পরেই বোঝা গেলো।
কলেজ থেকে বেরিয়ে গেল
েও পরবর্তীতে কয়েকবার সময় করে নিজেদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ করেছিলাম।তখনও সেই স্মৃতি রোমন্থন করে আনন্দ উপভোগ হতো।কিন্তু যত সময় যেতে লাগলো সবাই কেমন যেনো কর্মব্যস্ততার মধ্যে হারিয়ে যেতে লাগলাম।আজ সবাই প্রতিষ্ঠিত।কিন্তু পুরোনো স্মৃতি আজও চোখ বন্ধ করলেই ভেসে ওঠে।কালের গতিতে ভাস্কর এর সাথে আমরা যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করলেও মনে হতো সে আর আমাদের সঙ্গ চায় না।ওকে এইভাবে যে আমরা হারাবো তা কল্পনাতীত।এটা আমার কাছে আজও খুব বেদনাদায়ক।প্রসেনজিতের সঙ্গে সেই একইরকম বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারলেও ভাস্করের সঙ্গে সেটা আর সম্ভব হয় নি।তাই বলতে চাই "ভাই,যেখানেই থাকিস,খুব ভালো থাকিস।তোকে সারাজীবনেও আমরা ভুলতে পারবো না।"