অশ্রুসিক্ত হাসি
অশ্রুসিক্ত হাসি
বিভিন্ন ক্লাসের প্রত্যেক সেকশনকে নিয়ে আমাদের আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা হত।তখন রেংক অনু্যায়ী সেকশন গুলো এ, বি, সি, ডি তে ভাগ হত।সাধারণত প্রত্যেকবার দেখা গেছে সি বা ডি রাই চ্যাম্পিয়ান হতো।আমরা "এ" সেকশনে থাকার সুবাদে প্রতি বছরই প্রথম ম্যাচে হেরে চলে আসতাম।এইভাবে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত কেটে গেলো।মাঝে সপ্তম শ্রেণীতে একবার সেকেন্ড রাউন্ডে পৌঁছাতে পেরেছিলাম। আর প্রত্যেকবারই মোটামুটি দু থেকে তিনটে করে গোল খেতাম।প্রত্যেক খেলাই নক আউট হতো।আমাদের ক্লাসের বেশির ভাগ ছেলেরাই খুব কম মাঠমুখে হতে চাইতো। আর যাও বা কোনক্রমে টিম নামানো যেত,বিপক্ষ দলের সব পোড় খাওয়া ছেলেদের কাছে অনায়াসেই হেরে যেতাম।
নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় প্রথম ম্যাচে খেলা পরে নবম "ডি" দের সাথে।আমরা আগে থেকেই ধরে নিয়েছিলাম এই ম্যাচে অন্ততঃ গোটা পাঁচেক গোল খাবই।কিন্তু মাঠে নেমে আমরা খুব ভালো খেলা উপহার দিয়েছিলাম।সেই খেলায় আমরা এক গোলে জিতে যাই।আমাদের তখন যেনো আনন্দ আর ধরে না। স্যার রাও খুব প্রশংসা করেছিলেন।তারা পরের খেলাগুলোতেও খুব উৎসাহিত করেছিলেন।সেই বার আমরা খুড়িয়ে খুড়িয়ে তিনটে রাউন্ড টপকে ফাইনালে উঠেছিলাম ।ফাইনাল পড়েছিল দশম শ্রেণীর ডি সেকশনের সাথে।এই টিমের অনেকে আবার স্কুলের হয়েও খেলে। এই খেলাটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গোলশূন্য ছিল।পরে ট্রাইব্রেকারে ম্যাচটি আমাদের পক্ষে যায়।সেই স্মৃতি আজও মনের গভীরে জায়গা করে আছে। আর আমরা বন্ধুরা আনন্দে সবাই একসাথে লাফালাফি করছি ।সবার অজান্তেই আমাদের চোখ দিয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পরেছিল।সেই অনাবিল আনন্দ টা কখনই ভোলা সম্ভব না।