Agniswar Sarkar

Classics Inspirational Others

4  

Agniswar Sarkar

Classics Inspirational Others

রবির পাঠশালা

রবির পাঠশালা

7 mins
223


পুরুলিয়ার এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত প্রত্যন্ত এক গ্রাম। কালীপুর। বসবাস হাতে গোনা কয়েকটি আদিবাসী পরিবারের। যাদের সকাল থেকেই কাজ পাহাড় সংলগ্ন বনভূমি থেকে কাঠ, মধু প্রভৃতি সংগ্রহ করে পুরুলিয়াতে সরবরাহ করা। এমনিতেই এই অঞ্চলের মাটি খুব রাগী। উত্তাপ সারা বছরই সপ্তমে। শীতের দিকে সূর্যদেবের রাগ একটু কমে বটে, কিন্তু গরমের দিনগুলোতে গায়ে ফোস্কা পড়ে। সারাদিনের অক্লান্ত হাড়ভাঙা খাটুনির পর প্রকৃতি মায়ের কোলে শুয়ে তারা ভরা আকাশের শামিয়ানার নিচে শুয়ে একটা নিশ্চিন্ত রাত্রিযাপন করে অভ্যস্ত এই অঞ্চলের হাতে গোনা পরিবারগুলো। এক তাল, এক লয়, এক ছন্দ বয়ে চলেছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। নদীর নীরব স্রোতের মতো সময় এগিয়ে গেছে। একটুও পরিবর্তন হয়নি এই মানুষগুলোর জীবনযাত্রার। লক্ষ্যহীন একটা প্রাত্যহিক সমাজ জীবনের সাক্ষী হয়ে আছে অযোধ্যা ও সংলগ্ন পাহাড়গুলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বন্যপ্রাণীর অতর্কিত আক্রমণ, কিছুই যেন দমিয়ে রাখতে পারেনি প্রকৃতির বুকের অধিষ্ঠাতা এই মানুষগুলোকে। আজ অনেকযুগ পর এই অঞ্চলে একটা পরিবর্তন দেখা গেছে। গাছের পাতা, ফুলের সজ্জায় সেজে উঠেছে একটা ধূসর এলাকা। সূর্যের উত্তাপ আজ উপেক্ষিত। অসংখ্য বলিরেখায় ঘেরা তামাটে মুখগুলো ভরে উঠেছে একটা আনন্দে, একটা মানসিক প্রশস্তিতে।

***

রমানাথ চৌধুরী। শিলিগুড়ির নামকরা এক কাঠের ব্যবসায়ী। একমাত্র পুত্রের জন্ম হয়েছে কয়েকঘন্টা আগেই। মার্বেলে মোড়া সাদা বাড়িটার মধ্যে একটা আনন্দের সাইক্লোন মুহুর্মুহু আছড়ে পরছে। চৌধুরীবাবুর সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া পুত্রের নামকরণ হয়েছে অরুণ। চৌধুরীবাবুর একান্ত ইচ্ছে অরুণ একদিন তার নিজস্ব প্রতিভার দীপ্তি ছড়িয়ে বিশ্বের দরবারে এই পরিবারের ছাপ রেখে যাবে।

শিলিগুড়িতে স্কুলের পাঠ সেরে অরুণ পাড়ি দিল বিশ্বভারতীতে। বিষয় ইংরাজি। স্নাতকোত্তর হয়ে অরুণ ফিরে এলো শিলিগুড়িতে। যোগ দিলো পারিবারিক কাঠের ব্যবসাতে। বাবার খুব একটা ইচ্ছে ছিলো না। বাবা একান্তে একদিন অরুণকে ডাকলেন,


বাবু, এতো পড়াশোনা করে এই ব্যবসাতে নিজের উজ্জ্বল কেরিয়ার নষ্ট করিস না। আমি, কাকা আছি। ব্যবসা আমরাই দেখবো। তুই বাবা মন দিয়ে পড়াশোনাটা এগিয়ে নিয়ে চল।অরুণ মাথাটা নিচু করে পায়ের নখ দিয়ে মেঝে খোঁটার একটা বৃথা চেষ্টা চালাতে লাগলো। তারপর খুব ধীর গলায় বাবাকে বলল,


বাবা আমি অবশ্যই পি.এইচ.ডি করবো। তবে আমাদের ব্যবসার দিকে কিছুটা সময় দেবো। পড়াশোনা করে কি নিজেদের ব্যবসার উন্নতি সাধন করা যায়না? মানছি আমার পড়াশোনার বিষয়বস্তু হয়তো ব্যবসা নয়, কিন্তু এতদিনের পড়াশোনা থেকে ব্যবসার উন্নতি করা তো যায়, তাই না বাবা? তোমরা কি ব্যবসা নিয়ে প্রথাগত কোনও পড়াশোনা করেছিলে? করোনি তো। বাবা প্লিজ আমাকে একটা সুযোগ দাও। আমি জানি তোমাদের ইচ্ছে আমি বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করি। আমি কথা দিলাম, আমি যদি পি.এইচ.ডি-তে ভালো ফলাফল না করি অথবা ব্যবসাতে ঠিকঠাক মনোনিবেশ না করি আমি তোমাদের কথা মাথা পেতে মেনে নেবো।  কথোপকথন কিছু বাদে বাদানুবাদে পরিণত হল। যেমনভাবে প্রত্যেক সন্তানের জেদের সামনে পিতা-মাতাকে হার মানতে হয়, এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না। অরুণও বাবাকে কথা দিল সে রেজাল্ট ভালো করেই দেখাবে।

পড়াশোনার পাশাপাশি অরুণ কাঠের ব্যবসাতে সময় দিতে শুরু করল। সময়ের সাথে সাথে অরুনের পি.এইচ.ডি-ও শেষ হল। কথা মতো একটা দারুণ রেজাল্ট বাবার হাতে তুলে দিল ছেলে। ইতিমধ্যে বাবারও বয়স বেড়েছে, অরুণ ধীরে ধীরে ব্যবসার কাজে বাইরে যাতায়াত শুরু করল।

অরুণ একদিন সকালে বসে বাবার সাথে বাড়িতে বসে গল্প করছে। বাড়ির চাকর রতন ঘরে প্রবেশ করে রমানাথবাবুর উদ্দেশ্যে বলল,


বাবু ছেদিলাল এসেছে।রমানাথবাবু গম্ভীর স্বরে বললেন,


পাঠিয়ে দাও।কিছুক্ষণ পর একটা টুইলের সাদা হাফ সার্ট আর বাদামি রঙের একটা পুরানো প্যান্ট পড়ে ছেদিলাল ঘরে প্রবেশ করল। ছেদিলাল হল চৌধুরীদের বিশ্বস্ত এজেন্ট। কোথায় কমদামে কাঠ বিক্রি হচ্ছে, কোথায় সস্তায় জঙ্গল নিলাম হচ্ছে সেই খোঁজ দেওয়াই হল ছেদিলালের কাজ। ছেদিলালকে দেখে রমানাথবাবু ডান হাতটা সামনের দিকে প্রসারিত করে সামনের দিকের চেয়ারটাকে নির্দেশ করে বললেন,


বসো ছেদিলাল। ভালো আছো তো?হ্যাঁ বাবু।তা আজ কী মনে করে?বাবু পুরুলিয়াতে সরকার একটা জঙ্গল সামনের মাসে নিলামে তুলবে। আমি খবর নিয়েছি শাল-সেগুন মিলিয়ে প্রায় একশোর ওপর গাছ হবে। যদি একটু দেখতেন।বেশ। তা তোমার যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছো তো? নিলামটা যেন আমাদের হাতেই আসে।হ্যাঁ বাবু। আমি ওখানে কথাবার্তা সেরে ফেলেছি। কিছু টাকা লাগবে। আর যদি একদিন অরুণবাবুকে আমার সাথে পাঠিয়ে দেন তবে বাকি কাজ সেরে আসতে পারবো।ঠিক আছে। তাই হবে।এবার রমানাথবাবু অরুণের দিকে ঘুরে প্রশ্ন করলেন,


ছেদিলালের সাথে কথা বলে যাওয়ার ব্যাপারটা ঠিক করে নে বাবু। আমার মনে হয় বেশি দেরী করা ঠিক হবে না।অরুণ ঘাড়টা একদিকে কাত করে সম্মতি প্রদান করল।

***

সকাল থেকেই একটা সাজো সাজো রব কালীপুরে। সনাতন,মাধাই,বলরাম শশব্যস্ত হয়ে কাজ করে বেড়াচ্ছে। গ্রামের মাঝের মাঠটাতে একটা ছোট্ট স্টেজ মতো করা হয়েছে। বাঁশের স্টেজটা মুড়ে ফেলা হয়েছে বাড়ির মহিলাদের কাপড় দিয়ে। পিছনে একটা একরঙা কাপড়ের ব্যানারও টাঙানো হয়েছে। সেখানে সাদা রঙ দিয়ে খুব কাঁচা হাতের একটা লেখা জ্বলজ্বল করছে। রবীন্দ্র জয়ন্তী। স্টেজের একপাশে একটা কাঠের গুঁড়ির ওপর রাখা আছে একটা রবীন্দ্রনাথের ছবি। হাতে আঁকা। স্টেজের মধ্যে আরও একটা কাঠের গুঁড়ি রাখা আছে, কোনও বিশেষ অতিথি বসার জন্য। স্টেজের সামনে প্রায় গ্রামের সকলেই উপস্থিত। ছেদিলাল এক কোণে দাঁড়িয়ে দাঁতে করে নখ কেটে যাচ্ছে। মুখে ভিড় করে আছে অজস্র চিন্তার কালো মেঘ। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গ্রামবাসীদের মধ্যে একটা মৃদু গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

হঠাৎ গুঞ্জন স্তব্ধ হয়ে গেলো। স্টেজের ওপরে উঠলো মাধাই। গায়ে একটা নতুন গামছা আর লুঙ্গি। এরপর সামনের অপেক্ষায়মান জনতার দিকে মুখ করে নিজেদের আঞ্চলিক ভাষায় বলল, (পাঠকের সুবিধার্থে সকল কথোপকথন বাংলাতেই দেওয়া হল।)


আপনারা একটু শান্ত হয়ে বসুন। শহরের বাবু আর সরকারের লোকেরা এবার স্টেজে আসবে।বলেই নিচে নেমে গেল। একটু বাদেই সনাতন আর বলরাম পথ নির্দেশ করে অরুণ এবং সরকারী অফিসারদের স্টেজের পাশে নিয়ে উপস্থিত হল। এদিকে ছেদিলালের উত্তেজনা আরও বেড়ে গেল। বলরামের সাথে অরুণ এবং তিন সরকারী অফিসার স্টেজে উঠল। সনাতন চারটি মালা হাতে নিয়ে অরুণদের দিকে এগিয়ে গেল। মালাগুলি নিয়ে একে একে সকলে স্টেজের উপরে থাকা রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করল। ইতিমধ্যে আরও তিনটি কাঠের গুঁড়ি স্টেজে আনা হয়েছে। অতিথিবর্গ সেখানে স্ব স্ব আসন গ্রহণ করেছেন।

স্টেজের নিচে থাকা ছেদিলাল এবার পকেট থেকে মোবাইলটা নিয়ে একটু দূরে চলে গেল। উত্তেজিত হয়ে কথা সেরে আবার নিজের জায়গায় ফিরে এলো। এবার অরুণ নিজের জায়গা ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে স্টেজের সামনের দিকে এগিয়ে এলো। অরুণের পকেটে থাকা ফোনটা একটা সুরেলা আওয়াজে বেজে উঠল। ফোনটা পকেট থেকে বের করে দেখল স্ক্রিনে লেখা – বাবা। ফোনটা কেটে দিয়ে সামনের দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলল,


আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ ফোন এসেছে। আপনাদের সামনে স্যারেরা কিছু বলবেন। আপনারা শুনুন।বলে ফোনটা হাতে নিয়ে ষ্টেজ থেকে নেমে অনেকটা দূরে চলে গেল অরুণ চৌধুরী। একটা গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ডায়াল করল বাবাকে।


হ্যালো বাবা।হ্যাঁ। কী করছিস বাবু তুই? একটু আগে ছেদিলাল আমাকে ফোন করে সব বলল।বাবা, তুমি প্লিজ একটু ঠাণ্ডা মাথায় একটু বসবে? আমার কথাগুলো শুনবে?আমি ঠিক আছি, তুই বল।বেশ কিছুক্ষণ ফোনে কথা বলে আনন্দচিত্ত নিয়ে পুনরায় স্টেজে ফিরে এলো অরুণ। আজ কোনও জেদ করেনি, শুধু বাবাকে মনের কথাটা জানিয়েছে। বাবাও ছেলের কথা বুঝেছে। প্রসন্নচিত্তে ছেলের মানবিক ইচ্ছেটা সাগ্রহে গ্রহণ করেছেন।


অরুণ স্টেজে উঠে নিজের ছেড়ে যাওয়া আসন গ্রহণ করল। স্টেজে তখন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বক্তব্য রাখছেন এক সরকারী অফিসার। কিছুক্ষণ বাদে নিজের বক্তব্য শেষ করতেই দর্শকগণ হাততালি দিল। এবার আবারও নিজের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে স্টেজের সামনের দিকে এগিয়ে গেল অরুণ চৌধুরী। হাতের ইশারায় স্টেজে ডেকে নিল ছেদিলালকে। এরপর আগ্রহী দর্শকদের দিকে ফিরে উদাত্ত কণ্ঠে শুরু করল,


নমস্কার। আমাকে আপনারা চেনেন। আমি অরুণ। আপনাদের অরুণ। গত একমাস ধরে আপনাদের মাঝে আছি। আপনাদের বাড়ির ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা শেখানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা আমার জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।তুমুল হাততালিতে দর্শকরা অভিনন্দন জানালো অরুণকে। গ্রামের মুরুব্বি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,


বাবু আপনি এখানে থাকুন। আমরাও লেখাপড়া শিখবো আপনার কাছে। আমাদের এখানে আগে কেউ পড়াশোনা শেখেনি। আপনি আমাদের মজার ছলে শিখিয়ে আমাদের পড়াশোনা শেখার আগ্রহ বাড়িয়েছেন।আবারও একচোট হাততালি।

অরুণ আবার বলা শুরু করল,


আমি এখানে এসেছিলাম এখানকার গাছগুলো কিনতে। কেটে নিয়ে যেতে এখানকার বন্যসম্পদ। এখানে আপনাদের আতিথেয়তায় থেকে নিজের শিক্ষাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম। আমি রবি ঠাকুরের পাঠশালায় পড়েছি। আজ সেই শিক্ষাকে আপনাদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পেরে নিজেকে মানুষ বলে মনে হয়েছে। রবি ঠাকুর বোলপুরের মানুষদের শিক্ষার জন্য তৈরি করেছিলেন বিশ্বভারতী। সেখানে ওনার স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর অবদানও কম ছিল না। আজ এই প্রকৃতি মায়ের কোলে এসে আমি আমার রবি ঠাকুরকে খুঁজে পেয়েছি। আমি গতকালই নিলামে এই গোটা জঙ্গল কিনে নিয়েছি।মাঠে যেন একটা বোমা ফাটল। সবাই এর ওর মুখ চাওয়া-চায়ি করা শুরু করল। হঠাৎ পিছনদিকে থেকে একজন দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল,


বাবু আমাদের গাছ কেটে নিলে আমরা থাকবো কোথায়? পুরো গ্রাম মরে যাবে। আমরা অনাথ হয়ে যাবো।বলে অরুণের উদ্দেশ্যে হাত জোর করে দাঁড়িয়ে পড়ল। সেই দেখাদেখি বাকিরাও অরুণের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে দাঁড়াল। অরুণ স্মিত হেসে সকলের হাতজোড় করে বলতে শুরু করল,


আপনাদের গ্রাম আপনাদেরই থাকবে। আপনাদের জঙ্গল আমি কিনে নিলেও আমি একটা গাছও কাটবো না। আমি কালই বি.ডি.ও অফিস থেকে এখানে একটা স্কুল খোলার জন্য আবেদন করে এসেছি। এখানে স্কুল করতে যা খরচা হবে আমি দেবো। আমার স্বার্থের জন্য প্রকৃতিকে নষ্ট করব না। এখানে প্রতিবছর নিয়ম করে বৃক্ষরোপণ উৎসব হবে। আপনারা এখানে হাতের বিভিন্ন কাজ করবেন। সরকারী উদ্যোগে সেই জিনিস বিক্রি করার বন্দোবস্ত করে দিয়ে যাবো আমি। আর এই গোটা ব্যাপারটা দেখবে আমাদের ছেদিলাল।বলেই অরুণ চৌধুরী পিছনে ফিরে চোখের ইশারায় ছেদিলালকে সামনে ডেকে নিল। আজ পুরুলিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছে অরুণ। গ্রামের মানুষ আজ চিনেছে তাদের প্রাণের রবিকে, মনের অরুণকে। আজ গাছগাছালির ছায়ায় পুরুলিয়ার অধিবাসীরা পেয়েছে তাদের উপাস্য ঠাকুরকে। এই ঠাকুরের আজ জন্মদিন। বলরাম, সনাতন, মাধাই আজ গর্বিত অরুণের মতো শিক্ষককে পেয়ে। অযোধ্যা পাহাড়ের গায়ে স্থাপিত হয়েছে রবির পাঠশালা। এরপর রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতির পাশে বসে হাতজোড় করে উদাত্ত কণ্ঠে অরুণ গেয়ে উঠলো –

“ আজ নিখিলের আনন্দধারায় ধুইয়ে দাও, মনের কোণের সব দীনতা মলিনতা ধুইয়ে দাও…”


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics