প্রেমের রঙে
প্রেমের রঙে


কচুরিপানার পানার ফুল , ডুমুর, তেলাকুচা ফলের ভাত তরকারি কুঁচ পাতায় থালায় বেড়ে দিতো ভাত আমায় ও অফিস যাওয়ার আগে। মাটি দিয়ে দুটো টেপা পুতুল তৈরি করেছিলাম আমি, ওটাই ছিলো আমাদের ছেলে মেয়ে। খেলনা বাটির খেলার সময় থেকেই পুঁচকি আমাকে বর হিসেবে দেখতো। শহরের পড়তে গেছিলো অনেক বছর। এখন তো অনেক টা বড়ো হয়ে গেছে ও। উচ্চতা বাড়েনি তেমন তবে পুচকি আর বলা যাবে না।
আমার দের গ্রামে দোল উৎসব খুব বড়ো করে হয়। মন্ডল জমিদারদের গোবিন্দ মন্দির, দোল মঞ্চ সব ভেঙে গেছে, আমি বাবার জ্যাঠা ঠাকুর দা, খুব কৃপণ জমিদার ছিলেন। তিনি খুব কৃপণ ছিলেন। অতোকৃপণ ছিলেন যে ওনার ছেলে মেয়ে ওনাকে ছেড়ে চলে যায় , ফলে ওনার মৃত্যু পর কেউ জমিদারি দেখার ছিলো না। তবে তার সময় থেকেই মন্দির দোল মঞ্চ ছিলো অযত্নে। কিন্তু মহেশ পুরে দেখে আমাদের গ্রামেও কয়েক বছর ধরে মাটির দোল মঞ্চ করা হয়। আর, এখানে রাধাকৃষ্ণ এর গায়ে আবির আমরা বাড়ি বাড়ি দিয়ে আসি। আবীর দিয়ে বড়ো দের প্রণাম করে আমরা দোল উৎসব শুরু করি। সেই মতো দাদু দিদাকে আবীর দিয়ে চলে যাচ্ছি। তখন ইসরা করে পুচকি আমাকে উপরে ডাকলো।
ঊপরে যেতে দেওয়ালে চেপে ধরে বললো
"আমাকে রঙ মাখিয়ে চলে যাচ্ছিস যে। মাম্পিকে রঙ মাখা বি বোধহয় , তাই এতো তাড়া"
" বেঙ্গালুরু তে কেউ জোগাড় হয়নি তোকে রঙ মাখানো র"
বুকের ওপর মাথা রেখে ও বললো" তোর মতো ভালো পড়াশোনা হলেতো কলকাতাতেই পড়তাম। বাবা তো জেদ জনিস তুই ইন্জিনিয়ার হবি পোদের ছেলে হয়ে। তাই আমাকে ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। তুই রঙ না মাখলে আমি কিন্তু আজ দোল খেলবো না।"
আমি বললাম " কোথায় রঙ লাগাবো!"
ও বললো " যেখানে খুশি"
ও আজ শাড়ি পরেছে , ওর সুন্দর পাতলা পেট আবীর ছোঁয়া তেই ও চোখ বন্ধ করে নিলো। আমি দুই হাতে ওকে কাছে টেনে , ওর ঠোঁট দুটো রঙীন করে দিলাম প্রেমের রঙে।