নিমাইয়ের সংসার (৮)
নিমাইয়ের সংসার (৮)
ভূপেন কামলা দি যেগুন টিয়া হার হেগুন দি অইন্যা হ্যাতাগো তিনজনের সংসার মোডামোডি চলি যা। নিরু তিন চাইর মাস হইল কামে যার। হিয় দোকানের মালিকের থুন নিজের কামের হাজিরার টিয়াগুন জমা করি রাইখতে আছে। ছ'মাসের টিয়া জৈমলে
এক্কইলগে বেকগুন টিয়া উডাই লৈ একখান
হানের দোকান দিতে ইচ্ছা আছে হিয়র। দোকানের মালিক খুব খুশি নিরুর কামের নিষ্ঠা দ্যেই।
দেইখত দেইখত আট মাস কাডি মালিকের কাছে চব্বিশ'শ টিয়া জমা হৈছে। মালিক খুশি হই তারে হচিশ'শ টিয়া দ্যে। লগে একখান টেবিল কিনি দ্যে। হানের দোকান কৈরবারলাই।নিরু আইজ্যা বহুৎ খুশি । হ্যাতের মনে হইতাছে যেন হিয় কত বড় হৈ গ্যেছে গত ক'মাসে। একখান বড্ডা নিঃশ্বাস নামি আইয়ে হ্যাতের বুকের ভিতর তুন। নিঃশ্বাস ফেলাই যেন হিয়র ভিতরে জমি থাকা কষ্ট অল্প পরিমাণ হৈলেও কমি আইয়ে। হ্যাতার মন যে আইজ্যা অনেক হালকা লাগের। মনে মনে আনন্দ অনুভব করের। ছোখের কোনাত জল । মালিকে কিনি দেওয়া টেবিল খান মালিকের দোকানে রাখি বাড়িত আইয়ে টিয়া গুন হাতে লৈ। মনে শান্তি আর তিপ্তি লৈ পেড ভরি ভাত খা। আর মনে মনে ভাবে কাইলকার তুন হ্যাতে নিজেও ভাতের দাম অল্প হৈলেও দিতে পাইরব। মনে মনে খুশি হ। খাই উডি এক্কেনা আরাম করি লৈ দাদা ভূপেন আর মা'রে ক তোমরা রেডী হওছেন, আমার লগে বাজারে যাইবা, মালিক আমারে একখান টেবিল কিনি দিছে দেইখবা। আরে বেতনও দিছে। একশ টিয়া বেশি দিছে। টিয়া গুন দি আমি মালপত্র কিনুম। আমি একখান হানের দোয়ান খুলুম। নিরুর মা খুব খুশি হ। ভূপেন ও খুশি হ' ছোড ভাইয়ের বুদ্ধি দ্যেই। তিনজন মিলি বিয়ালে বাজারে যা জিনিস কিনত বুলি নতুন দোয়ানের লাই।
বাজারে আই হ্যাতারা নতুন দোয়ানের লাই গুয়া, হান- সুয়ারী, বিড়ি, সিগারেট, লজেন্স বিস্কুট, চীনা, বাদাম কিছু বইয়াম টেবিলের ঢাকনি এইসব জিনিস কিনি ল'র।নিরুর মনে উত্তেজনা, নিজের দোয়ান হইবো ভাইবতেই
হিয়র মনের ভিতরে আনন্দের স্রোত খেলি যার, চেহেরাত উত্তেজনা আর খুশির ছাপ হ্যেতার মায়ের চোখে হরের। হোলার খুসীত
বেডি নিজেও য্যন কত খুসী সেই কথা বুজাই কওন যাইতন', ভূপেন ভাবের আর ছোড ভাইগা ক্যামনে করি এই কদিনে কত্ত বড্ডা
হৈ গ্যাছে গৈ।হ্যাতার মনে একখান কষ্ট কাম কৈরতে আছে যেন হিয় নিজের ছোড ভাইগারে লেখাহড়া করাই ভদ্রলোক বানাইত
হাইরলনা। একখান শান্তি হিয়র মনে খেলা করি যা না হক ভদ্রলোক, অন্ততহক্ষে হ্যাতার ভাই একজন ভালা মানুষ হইবো, এই বিষয়ে হিয়র মনে কোন সন্দেহ নাই। নিরু আর ভূপেনের মায়ের মনে সুখের ঠিকানা নাই। আইজ্যা হ্যাতারা অল্প হৈলেও সুখের মুখ দেইখছে।