নিঃস্বার্থ জীবন
নিঃস্বার্থ জীবন


প্রিয় ডায়েরি,
লক ডাউনের এই সুদীর্ঘ অবসরে দিল্লি দূরদর্শনে আবার রামায়ণ ও মহাভারতের মতো পৌরাণিক কাহিনী দেখানো শুরু হয়েছে। বহু বছর আগে এই দুই পৌরাণিক ধারাবাহিক কাহিনী অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। তখন তো এখনকার মতো সব ডিজিটাল ছিল না। তখন এ্যান্টেনা সমেত টেলিভিশনের যুগ ছিল। তাও সবার বাড়িতে টেলিভিশন উপলব্ধ ছিল না। আমার মনে আছে, আমাদের গ্ৰামের বাড়িতে সেসময় রামায়ণ , মহাভারত শুরু হবার আগে থেকেই গ্ৰামে চেনা পরিচিত যাদের বাড়িতে টেলিভিশন ছিল না ,তারা এসে বসে থাকতো। সে যেন এক জমায়েতের আসর বসতো। কি সুন্দর সবাই মিলে আনন্দ করে রামায়ণ মহাভারত দেখা হতো। মানুষের মনে একটা আলাদা আনন্দের অনুভূতি ছিল তখন ছোট ছোট ব্যাপারেও।
যেটা এখন ভীষণভাবে অনুপস্থিত। ছোট ছোট খুশির মুহুর্ত মানুষ যেন ভুলে গেছে উপভোগ করতে। কাউকে নিজের কিছু দেওয়ার মধ্যে ও যে একটা আলাদা সুখানুভূতি হয়, সেটা বর্তমানে আমরা ভুলেই গেছি হয়তো। শুধু মাত্র আমার আমার মনোভাব মানুষের মনে। অপরের খুশিতেও যে একটা মনে আলাদা সুখানুভূতি হয়, সেটাই সবাই ভুলে গেছে। সবসময় নিজের জন্য না বেঁচে, অপরের জন্য ও কখনও কখনও বাঁচতে হয়। তবেই তো বাঁচার আসল আনন্দটা উপভোগ করবো আমরা-----
"নিজেকে ভালোবাসতে সবাই পারে,
কখনও অন্যকে ভালোবাসো নিঃস্বার্থভাবে উজাড় করে নিজেকে।
বাঁচার প্রকৃত আনন্দ ,
সেদিন উপলব্ধি করবে মনে।"
------এই মানসিকতায় শেষ করছি আজ।