মৃত্যুর পারে
মৃত্যুর পারে
একজন লােকের কাছে এক অত্যন্ত সুস্থ আর শক্তিশালী ঘােড়া ছিল। ও নিজের ঘােড়া দেখাশােনা করার জন্য একজন সহিসও রেখেছিল। সহিস বড়ই মেহনতি ছিল আর ঘােড়ার দেখাশােনা ভালােভাবেই করত। ও ঘােড়াকে ভালােভাবে মালিশ করত। ওকে স্নান করাত আর নিজের হাত দিয়ে খাবারও খাওয়াত। কিন্তু সেই সহিসের একটা খারাপ অভ্যাস ছিল। ও ঘােড়ার যত দানা আসত সেটার এক বড় অংশ বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দিত। ঘােড়ার মালিক এসব কিছুই জানত না। মালিক একদিন ঘােড়াকে দেখে অত্যন্ত দুঃখী। হলেন। একদিন সহিস বড়ই নিষ্ঠার সাথে ঘোড়াকে মালিশ করছিল। মালিশ করার
কাজে ও নিজের পূর্ণ শক্তির প্রয়ােগ করছিল, যাতে ঘােড়ার আরাম হয়। এই দেখে ঘােড়ার হাসি এসে গেল।
ঘােড়াকে হাসতে দেখে সহিস বড়ই অবাক হয়ে গেল। ও প্রশ্ন করল - আমি এত কষ্ট করে তােমার
সেবা করছি... তাতে তুমি হাসছ কেন ?
এই শুনে ঘােড়া বলল - ভাই তুমি যত জোর লাগাচ্ছ, তার থেকে একটু কম জোর লাগিয়ে তুমি | খাবার জন্য আমাকে আরও একটু বেশি দানা দাও। তাহলে আমি বেশি সুখপ্রাপ্ত হব। এই শুনে সহিস অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে উঠল। সেদিনের পর থেকে ও ঘােড়ার খাবার চুরি করা বন্ধ করে দিল।