মল্লেশ্বর মন্দির
মল্লেশ্বর মন্দির
বাঁকুড়া জেলার এই শিব মন্দিরটি মল্ল রাজাদের প্রতিষ্ঠিত একমাত্র শিবমন্দির বলে দাবি করা হয়।বিষ্ণুপুরের সব থেকে পুরাতন শিবমন্দির এটি এবং মাকড়া পাথরের তৈরি এই মন্দিরটি ভাষ্কর্য অনেক আকর্ষণীয় । আনুমানিক ১৬২২ খ্রীষ্টাব্দে মল্লরাজ বীর সিংহ এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে মতান্তর আছে এ নিয়ে, অনেক বলেন বীরহাম্বির এটি নির্মাণ শুরু করেছিলেন ১৬১২ খ্রীষ্টাব্দে এবং শেষ করেন তাঁর ছেলে রঘুনাথ সিংহ ১৬৪২ খ্রীস্টাব্দে। মন্দিরটি পূর্বে রেখ দেউল আকৃতির ছিল বলে জানা যায় ।এবং বক্রাকৃতি গন্ডির উপরে আমলক ও কলসী স্থাপিত ছিল। বর্তমান মন্দিরটি একটি চতুষ্কোণ ঘরের ওপর উপর অষ্টকোণাকৃতি এক শিখর বিশিষ্ট তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের প্রবেশদ্বারের উপর একটি পাথরের হাতি ও শিলালিপি আছে। বর্তমানে পলেস্তারার হয়েছে এবং মন্দিরটিই আধুনিকতার রূপ পেয়ে প্রচীনত্ব কিছু টা নষ্ট হয়েছে। মন্দিরের সামনে একটি বিশ্রামরত নন্দী মূর্তি আছে। মন্দিরের ভিতরে মেঝের উপর স্থাপিত হয়েছে শিব লিঙ্গ টি। এই শিবলিঙ্গ উত্তর দিকে বিস্তৃত গৌরীপট বেষ্টিত । ইনিই মল্লেশ্বর শিব নামে খ্যাত। মন্দিরের সংলগ্ন একটি বড় নহবত খানা আছে। মন্দির চত্বরে একটি চৌবাচ্চার মধ্যে জলেশ্বর শিব আছেন বলে লোকবিশ্বাস। মল্লেশ্বর শিব মন্দিরের প্রধান উৎসব গাজন। এই উৎসব এই মন্দিরে অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে পালিত হয়। গাজনের অন্যতম অঙ্গ চরকপূজার সুবাদে মন্দির প্রাঙ্গনের নাম হয়েছে চরকতলা।