মায়ের বোধন
মায়ের বোধন


শ্রীরামপুরের ব্যানার্জী বাড়িতে মহালয়ার দিন থেকেই আত্মীয় স্বজনেরা আসতে শুরু করেছিলেন। পঞ্চমীর দিন চক্ষুদান পর্ব শেষ হতেই ঢাকের বাদ্যি বেজে উঠল বাড়ির মন্দিরে। পরেরদিন সকালে কচিকাচারা সকলে গঙ্গার ঘাটে গেছে কলাবৌ স্নান করাতে। হৈ হৈ করতে করতে ফিরলো যখন সারা বাড়ি শোকে মূর্ছায়মান। পরিবারের সবচাইতে বয়ঃজেষ্ঠ্য মানুষটি আই.সি.ইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হেরে ািয়েছেন। সকলের চোখে আশঙ্কার মেঘ।স্বভাবতঃই। আড়াইশো বছরের পুজোটা এবার তবে বন্ধ হয়ে যাবে? থমথমে অবস্থার মধ্যে অবুঝ সর্বকনিষ্ঠ সদস্যটির ভয়হীণ স্বর রিনরিন করে বেজে উঠলো। তার প্রশ্ন, “মাম্মাম...ঠাকুর পুজো হবে না? ভোগ খাবো না?”
“নিশ্চয় খাবে, সোনা।” নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে বললেন সদ্যবিধবা ঠাম্মি। “পুজো বন্ধ হবে না। সব শোক আমার, আমি পালন করব। তোমরা সকলে আনন্দ কর। ঢাকি...ঢাক বাজাও! আজ যে মায়ের বোধন!”