চ্যাম্পিয়ন
চ্যাম্পিয়ন


বাউন্সারটা কপালের মধ্যিখানে এসে লাগলো। মাঠেই লুটিয়ে পড়লো সৌমদীপ; জাতীয় দলের সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। দুদিন ধরে যমে-মানুষে টানাটানি চলছে। ভেন্টিলেশানে রাখা বডিটা দেখতে গেলেন সোমনাথ। ছেলের হাতের মুঠোয় ধরা একটা চিরকূট! “বাবা, শচীনের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে পারলাম না! তবুও কি পৃথিবী আমায় মনে রাখবে না...?” কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিপত্নীক সোমনাথ। ডাক্তার আগেই জানিয়েছিলেন যে ব্রেনডেথ হয়ে গেছে। রক্ত মাখানো কাঁপা হাতের চিঠিটা পড়েই সিদ্ধান্ত নিলেন যে তাঁর ছেলের প্রত্যেকটা অঙ্গ তিনি দান করবেন। সেইমত মৃত্যুশোক ভুলে দুদিন ধরে চোখ, কিডনি, লিভার প্রতিস্থাপনের সমস্ত ফর্মালিটিস পূরণ করলেন। ঘরে ফিরে ছেলের ছবিতে হাত বুলিয়ে বলেন, “পেরেছি বাবু...তোকে স্মরনীয় করে রাখতে পেরেছি...তুই’তো আমার চ্যাম্পস, মাই হিরো...!”