কুচিসাকে উনা
কুচিসাকে উনা
কয়েক দিন ধরে খবর পাতা খুললেই একটা খবর পাওয়া যাচ্ছে। দিঘা, মন্দারমনি , তাজপুর সি বিচে কেউ অদ্ভুত ভাবে young ছেলেদের ঠোঁটের দুই ধার কেটে খুন করে যাচ্ছে।আজ কিন্তু ঘটনা ঘটেছে কোলকাতায়। একটা ছেলে এভাবে আক্রান্ত হয়েছে। তবে ও বেঁচে আছে p.g তে ভর্তি আছে। এখন আমার তলব করছে আমার বন্ধু জয়রাম। ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও। ওর মনে হয়েছে এটা কোনো ভৌতিক ঘটনা । তাই আমাকে দরকার ওর কথা বলার জন্য।
হুঁ ছেলেটা দেখেই আমি বুঝতে পারলাম এটা কুচিসাকে উনার কাজ। তবু কনফার্ম হবার জন্য জানতে চাইলাম কি হয়েছিল সেদিন। ও বললো " আমি সে বিচে ঘুরছিলাম। হঠাৎ একটা মেয়ে এলো আমার কাছে। পরনে আধুনিক পোশাক , যথেষ্ট আকর্ষণীয় চেহারারা। কিন্তু একটা উর্না দিয়ে নিজের মুখটা ঢেকে রেখেছিলো। কিন্তু ওর চোখেটা খুব মায়াবী। ও আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি কি সুন্দরী। আমি বললাম হ্যাঁ। আমি অদ্ভুত ভাবে হাসতে থাকলো। আমি খেয়াল করলাম ওর পা মাটিতে স্পর্শ করে নেই। আর পায়ের পাতাটা উল্লটো দিকে। ও হঠাৎ ওর উরনাটা খুলে ফেললো। ওর চুল উড়ছে, বিভৎস ভাবে ওর মুখটা জেনো কেটে দিয়েছে ঠোঁটে দুই ধার থেকে। ওর ঠোঁটের ধারে কাটা অংশ থেকে রক্ত বেরাছিলো। ও আমাকে আবার জিজ্ঞেস করলো এখন বললো। আমি কি সুন্দরী। আমি বুঝতে পারলাম এ কোন সাধারণ নারি নয়। আমি বললাম তুমি সূন্দরী।
ও কিছু না বলে অদৃশ্য হয়ে গেলো। আমি তাড়াতাড়ি কোলকাতায় চলে আসলাম। কিন্তু আজ রাতে আবার ওই মেয়েটি আমার শোবার ঘরে হাজির বললো আমি যদি সুন্দরী হই তাহলে আমার সাথে তুমি রাত কাটাও। আমি ভয়ে চিকিৎসা করে ওঠতে। একটা বড়ো কাঁচি বেড় করে আমার ঠোঁটটা ও কেটে দিলো।"
ঐ মেয়েটি যে কুচিসাকে উনা তা বুঝতে বাকি রইল না।কুচিসাকে-ওন্না বা মুখ-কাটা মহিলা জাপানি লোককথা অনুযায়ী সে তার মুখ মাস্ক বা অন্যকিছু দিয়ে ঢেকে রাখে। ও কাছে সে সব সময় ধারালো অস্ত্র রাখে, একটি ছুরি বা বড় কাঁচির মতো কিছু। সে তার শিকারদের জিজ্ঞাসা করে যে সে সুন্দরী কিনা। না বলে তো সে তাকে তার অস্ত্র দিয়ে খুন করে দেয়। হ্যা বললেও খুন করে। ওর হাত থেকে বাঁচতে হলে , বলতে হবে ও মোটামুটি সুন্দরী। আর ওকে চকলেট বা ক্যান্ডি উপাহার দিয়েও নাকি বেঁচে যাওয়া যায়। জাপানে এক সময় বিভিন্ন শহরে ১৫০ বেশি ছেলে ওর হাতে খুন হয়েছিল।
আসলে বলা হয় কুচিসাকে উনআ একজন খুব সুন্দরী মহিলা ছিলো। এক সামুরাই সাথে তার বিয়ে হয়। সামুরাই এক সময় যুদ্ধ করতে গিয়ে অনেক দিন বাড়ি ফিরছিলো না। এ সময় তাকে বহু পুরুষ প্রেম প্রস্তাব দেয়। আর ও একটা সময় সে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু ওর এটা একটা নেশার মতো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ও একটা পুরুষকে সাথে এক রাত সম্পর্ক করতো। ও ওর যৌবন পুরো পুরি উপভোগ করতে চেয়েছিলো ভিন্ন পুরুষের সাথে রাত কাটিয়ে। একজন পুরুষকে ও প্রত্যাখ্যান করায় । সে ওর স্বামীকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। সামুরাই হঠাৎ করে বাড়ি এসে কুচিসাকে উনাকে পরপুরুষের সাথে যৌনমিলনে লিপ্ত অবস্থায় ধরে ফেলে। আর ওর মুখ কেটে দেয়। যাতে ওর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। যা নিয়ে সে অহংকারী ছিলো।কুচিসাকে উনা তার এই বিভৎস রূপের জন্য পুরুষকে দায়ী করে আর তাই সে পুরুষদের হত্যা করে।

