কৃষকের দূরবস্থা।
কৃষকের দূরবস্থা।
কলজাত দ্রব্য ভরাই না পেট, তার জন্য নিতে হয় সুট-বুট ছেড়ে কৃষকের বেশ। মাঠে-ঘাটে রোদে পুড়ে কৃষক ফলিয়ে ক্ষেতে ফসল তাতেই ভরে মোদের ডাইনিং
টেবিল।
ভারতের সত্তোর শতাংশ লোক কৃষিজীবি।কৃষকের নাই সঙ্গতি, উৎপন্ন ফসল মজুত রাখি।মাঠেই তাদের সোনার ফসল বিক্রি করে দিতে হয়।
সুযোগ বুঝে একদল লোক দাঁড়িয়ে থাকে নিয়ে টাকার থলি। কম দামে তারা কিনে নেয় ভুরি ভুরি। রেখে দেয় হিম ঘরে সব। সময় বুঝে চড়া দামে ফসল বিক্রি করে হোলসেলে করে ভুরি ভুরি রোজগার। কথায় বলে না, নাপোয় মারে দই।
কৃষক অল্প যে অর্থ পেল তা দিয়ে দেয় দাদন শোধ। হাতে থাকা অল্প ফসল হাটে হাটে বিক্রি করে চলে কিছুদিন। সারাবছরে রোগ-জ্বালা, আনন্দ-উৎসবে তাদের নিতে হয় সেই মহাজনের কাছে দাদন। তাদের খাবার জোটে সারাবছর। তাদের উৎপাদিত ফসলে চড়ে কতো লোক গাড়ি-ঘোরা, বানায় ইমারত। তাই আমি বলি, সত্যই সেলুকাস বিচিত্র এই দেশ যেন ধ্রুব সত্য।