Sekhar Bandyopadhyay

Tragedy Classics

4  

Sekhar Bandyopadhyay

Tragedy Classics

খুশবু

খুশবু

8 mins
383


                            খুশবু

                          ********

প্রতিবারের মতো এবারও রামবিলাস ওর বৌ খুশবুর বারণ তুড়ি মেরে হেঁসে উড়িয়ে দিয়ে বলে, "হামি কি ডরফোক আছি নাকি রে? ওস্তাদের কিছু হোয় না। তু ডর মাত।" খুশবুর মন মানতে চায় না, সে বলে, "তুমি এই সাপের খেলা দেখানো ছেড়ে এবার অন্য কোনো কাজ বা অন্য কোনো খেলা দেখাও, তাহলেও তো আমাদের দিব্যি চলে যাবে। শুধু শুধু এই বিপজ্জনক খেলা কি না দেখালেই নয়?" রামবিলাস হেঁসে বলে, "তু বহুত টেনশন লিচ্ছিস খুশবু, তু সায়েদ ভুলে গেলি কি হামি তামাম বীরভূম জিলার সবসে আচ্ছা খিলাড়ি আছি, হর সাল হামার কাছে বিশ পচ্চিশ লোগ খেলা শিখনেকে লিয়ে আসে। আর তু বলছিস হামি এই খেলা দিখানো ছেড়ে দিব! তুই হাঁসির কথা বলছিস খুশবু। আরে ছোড় ইসব, হামকো বড়িয়া এক কাপ চায় পিলা।" খুশবু হতাশ হয়ে চা করতে চলে গেল। চা বানাতে বানাতে সে পুরনো স্মৃতিতে হারিয়ে যায়। রামবিলাস বিহারী হলেও খুশবু বাঙালি মুসলমান পরিবারের মেয়ে। ওর আব্বু ছিল এই এলাকার খুব নামকরা সাপুড়ে। ওর আব্বুর সাপের খেলা দেখতে প্রতি সপ্তাহে তালদীঘির মাঠে লোকে ভেঙে পড়ত। ওদের গ্ৰাম ছাড়াও আশেপাশের অনেক গ্ৰাম গঞ্জ থেকে কাতারে কাতারে লোক আসত। কত রকমের দুঃসাহসিক আকর্ষণীয় খেলা দেখাত ওর আব্বু। দুটো বিষধর সাপের লড়াই, বিষধর সাপের দুধ খাওয়া, সাপের ফণায় চুম্বন করা, সাপ-বেজির লড়াই আর সবশেষে সবচেয়ে ভয়ংকর দুঃসাহসিক খেলা খালি হাতে কেউটে সাপ ধরা। সেই কেউটে সাপ দন্তহীন পোষা সাপ নয়, একেবারে সদ্য জঙ্গল থেকে ধরে আনা প্রবল তেজী কেউটে, যার ফোঁসফোসানি শব্দ শুনলে সাধারণ মানুষ তো দূর, অন্যান্য সাপুড়েরাও পালিয়ে পথ পেত না। কিন্তু খুশবুর আব্বু সাদিক আলী গাঁজার কল্কেতে টান দিয়ে এসে ডান হাতের কব্জিতে দুটো গাছের শিকড় বেঁধে নিয়ে আল্লার নাম করে মাঠের মাঝখানে এসে দাঁড়াত আর খুশবুর আম্মি বেতের ডিবের ঢাকনা খুলে সাক্ষাৎ যমদূতকে সাদিক আলীর থেকে দশ হাত দূরে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যেত। সাদিক আলী লাল চোখ করে একদৃষ্টে সাপটার দিকে তাকিয়ে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যেত খালি হাতে, লুঙ্গিটাকে হাঁটু অবধি গুটিয়ে নিয়ে সাপটাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকত। কখনো সাপটা ওর আব্বুকে ছোবল মারার চেষ্টা করত আর ওর আব্বু ঝপ করে ছিটকে সরে যেত। আবার কখনো ওর আব্বু এক ঝটকায় সাপটাকে প্রায় ধরে ফেলত পিছন থেকে কিন্তু সাপটাও ঠিক সরে সরে যেত। এরকম আধ ঘন্টার উপর টানাপোড়েন চলতে চলতে কেউটেটা যেই ক্লান্ত হয়ে পড়ত, তক্ষুনি বিদ্যুৎ গতিতে সাপটাকে পা দিয়ে মাথার কাছটা চেপে ধরে ধীরে ধীরে হাতে নিয়ে একটা বস্তায় পুড়ে ফেলত। আর অমনি দর্শকের তুমুল হাততালি আর টাকা পয়সার বৃষ্টি হত। ভালই হত আব্বুর উপার্জন, তার উপরে আবার কয়েকজনকে সাপের খেলা দেখানো শিখিয়েও ভালই আয় হত। আব্বুর ছাত্রদের মধ্যে একজন ছিল লম্বা, চওড়া দাড়িওয়ালা একটা প্রাণখোলা হাসিখুশি ছেলে যাকে খুশবু মনে মনে ভালবেসে ফেলেছিল। দাড়িওয়ালা ছেলেটারও গুরুর ঐ শ্যামবর্ণা, তন্বী, টানা টানা চোখের তরুণী মেয়েটাকে মনে ধরেছিল। ফলে ওরা লুকিয়ে দেখা সাক্ষাৎ করতে শুরু করল। লুকিয়েই সাক্ষাৎ করতে হত ওদের, কারণ সাদিক আলী ছিল গোঁড়া মুসলমান, অমুসলমান কারুর সাথে মেয়ের নিকা একেবারেই বরদাস্ত করত না। এরকমভাবে বেশ কয়েক মাস চলার পর একদিন রামবিলাস খুশবুকে বলল, "শুন খুশবু, এভাবে আর কতদিন চলবে, চল্ হামরা কোথাও পালিয়ে গিয়ে সাদি করে লি।" খুশবু দ্বিধা আর ভয় নিয়ে বলত, "কিন্তু নিকা করে নিলেও আমাদের চলবে কি করে?" রামবিলাস বলত, "কেন, হামি সাঁপের খেলাই দিখাব, হামি তো শিখে লিয়েছি।" খুশবু বলত, "কিন্তু আমরা যেখানেই পালিয়ে যাই না কেন আমার আব্বু ঠিক আমাকে খুঁজে বার করবে, আর আমায় খুন করে ফেলবে।" খুশবু ওর আব্বুকে জানে যে রেগে গেলে তার মাথায় খুন চেপে যায় আর তখন কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। সে বলে, "আমার ভয় করছে, আগে আমি আম্মিকে বলে আব্বুকে রাজি করাই, তারপর না হয় নিকা করা যাবে।" কিন্তু তারপর কয়েকদিন বাদেই খেলা দেখাতে দেখাতে মুহুর্তের ভুলে সাদিক আলীর পায়ে বেয়াড়া এক ভয়ংকর তেজী কেউটে সাপ ছোবল মারে। খবর পেয়েই খুশবু ও তার আম্মি দৌড়ে আব্বুর কাছে গিয়ে ক্ষতস্থানে জড়িবুটির প্রলেপ দেয় ও দাঁত বসানোর ছয় সাত ইঞ্চি উপরে শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেয়। এই অবস্থায় সাদিক আলী বুঝে নিয়েছিল তার জীবনের খেলা খতম করার সময় এসে গেছে, তাই খুশবুকে কাছে ডেকে বলেছিল, "শোন খুশবু, রামবিলাস ভালো ছেলে, আমি বলে যাচ্ছি তুই ওর সাথেই নিকা করে নিবি আর তোরা আমার জায়গায় নাগের খেলা দেখাবি। আমার তো সময় শেষ, বল্ , কথা শুনবি তো?" এই কথা বলতে বলতেই ওর আব্বু চিরনিদ্রায় ঢলে পড়েছিল। খুশবু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে।

                        রামবিলাস বলে, "আরে খুশবু তুই কাঁদছিস কেন? কোনো তকলিফ হচ্ছে কি? হামি কখন থেকে ইন্তেজার করছি কখন চায় আনবি, আর তুই এখানে বসে কেঁদে চলেছিস!" চোখের জল মুছে খুশবু বলে, "তুমি তো যাদুর খেলা দেখাতে পার, ওটাও তো তোমার কিছুটা শেখা আছে, আমি তোমায় সাহায্য করব। এবার থেকে তাহলে সাপের খেলা দেখানো বন্ধ করবে বলো।" রামবিলাস হাসতে হাসতে বলে, "ও তুই তাহলে এখনো তোর আব্বুর কথাই ইয়াদ করছিস আর ডর যাচ্ছিস! আরে হামি তো জংলী কেউটৈর সাথে খালি হাতে খেলা দিখাই না, হামার হাতে একটা ডান্ডা থাকে, তুই ডর মাত।" কিন্তু ভয় পাস না বললেই তো আর ভয় খুশবুকে ছেড়ে যায় না। রামবিলাস জেদ করে বলে, "আরে হামার থেকে অনেক আচ্ছা জাদুগর এখানে আছে, কিন্তু গুরুজীর পরে হামিই সবসে আচ্ছা সাপুড়ে আছি এই জিলায়। অন্য কোনো খেলা দেখালে এত লোক আসবে না। আর লোক না আসলে পয়সা কামাবো কি করে? এটা তুই বুঝতে পারছিস না।" খুশবু এই যুক্তিটা শুনে কিছুটা দমে গেল। সত্যিই তো লোক না হলে ওদের সংসারটা চলবে কিভাবে। ওদের সংসারে চারজনের ভরণপোষণ করতে হয়। খুশবু, রামবিলাস, খুশবুর মা আর খুশবুর ছোট বোন। সবারই খরচ খরচা এই সাপের খেলার উপরই নির্ভরশীল। তার উপর খুশবু সবেমাত্র অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে, ফলে রামবিলাসের যুক্তি না মেনে কোনো উপায় নেই। তাই সাপের খেলা দেখানো চলতে থাকল। খুশবু ওর মার মতোই রামবিলাসের থেকে দশ হাত দূরে বুনো হিলহিলে সাপটাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়, আর রামবিলাস হাতের লাঠি দিয়ে একেরপর এক ভয়ংকর ছোবল আটকায়। খেলা চলাকালীন সে ডানহাতের কব্জিতে লাগানো গাছের শিকড়গুলোকে কপালে ঠৈকিয়ে ইষ্টনাম জপে নেয়। ক্রমশই রামবিলাসের সাপের খেলার জনপ্রিয়তা উত্তোরত্তর বেড়েই চলছিল, খেলায় লোক সমাগমও ওর গুরুজী সাদিক আলীর মতই এমনকি তার থেকেও কিঞ্চিৎ বেশীই হচ্ছিল। এর পাশাপাশি সাপের খেলা শেখানোও চলছিল আর ওর শিষ্য সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছিল, ফলে অর্থের আমদানিও বাড়ছিল।

                              এইভাবেই বেশ চলে যাচ্ছিল খুশবুদের। ক্রমেই মনের ভয়ভাবটা একটু একটু করে বেশ খানিকটাই কেটে গেছিল ওর। তবে আজ সকাল থেকেই যতসব অলক্ষুণে কান্ড ঘটছিল খুশবুর। প্রথমে স্নান সেরে চুল আচড়ানোর সময় হাত থেকে পড়ে আয়নাটা ভাঙ্গে, যা কিনা খুশবুদের মতন সাপুড়েদের কাছে খুবই অশুভ ইঙ্গিত। পরে খেলা দেখানোর প্রয়োজনীয় গাছের শিকড় আনার জন্য যেই পাশের জঙ্গলে বেরোতে যাবে, অমনি ওর বোন রাবেয়া পিছু ডাকল, "দিদিভাই খেলা দেখানোর জন্য তুই যে সাপটাকে মাঠে ছাড়তে যাস, এবার থেকে আমি যাব। কারণ তোর এখন দৌড়ানো ঠিক না।" কথাটা রাবেয়া খারাপ কিছু বলেনি কিন্তু, খুশবুর মনটা শঙ্কিত হয়ে পড়ে কারণ খুশবু জানে কোনো কাজে বেরোলে পিছুডাক খুবই খারাপ লক্ষণ। সেইজন্য সে রামবিলাসকে ডেকে বলল, "শুনছ, আজকের খেলাটা বাতিল করে দাও, আজ দিনটা খুব অশুভ আছে।" এইকথা শুনে হো হো করে হেঁসে ওঠে রামবিলাস বলে, "তুই ফের ডর যাচ্ছিস খুশবু, হামিতো তোকে আগেই বলেছি যে হামার হাতে ডান্ডা থাকে তাই ডরনেকা কোই বাত নেহি। আর আজকে হঠাৎ অশুভ হতে যাবে কেন? আর আজকে দুপুর থেকেই মাঠে প্রচুর লোক জমতে শুরু করেছে, এখন খেলা বাতিল করা সম্ভব নয়।" এই ভয়টাই পাচ্ছিল খুশবু, রামবিলাস কোনো কথাই শুনতে চায় না। এইসময় রাবেয়া এসে বলে, "সাপটাকে মাঠে ছাড়তে আমি যাব, কারণ দিদিভাই ছুটতে পারবে না।" এইকথায় রামবিলাস খুশি হয়ে বলল, "ঠিক বাত, খুশবুর এখন দৌড়না ভাগনা ঠিক নেই আছে।" 

                              আজ রবিবার হওয়ায় মাঠে এত লোক জমায়েত হল যে তিল ধারণের জায়গা থাকল না। রামবিলাস লোকের জমায়েত দেখে খুব খুশি মনে তার খেলা দেখানো শুরু করল। একটা করে খেলা দেখানো শেষ হয় আর প্রচুর হাততালি আর টাকা পড়ে। কিন্তু তবুও জনতার যেন মন ভরেনা, তারা সেরা আকর্ষণের অপেক্ষায় থাকে। ক্রমেই একে একে অন্যসব খেলার পালা শেষ হল। জনতার মধ্যে গুঞ্জন শুরু হল, "এবার হবে আসলি খেলা।" রামবিলাস উঠে দাঁড়িয়ে জনতাকে হাত তুলে চুপ করতে বলল। জনতা খানিকটা চুপ হতেই সে বলল, "আপলোগ এর পরের খেলাটা দেখানোর সময় একদম কথা বলবেন না। কারণ এর পরে যে খেলাটা হামি দিখাব সেটা খুব খতরনাক খেলা আছে, যদি হামার মনঃসংযোগ ভটকে যায় তাহলে হামি মর ভি যেতে পারি। ইসলিয়ে খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত আপলোগ চুপচাপ থাকবেন।  একটু পরেই রাবেয়া এসে বুনো কেউটে সাপটা মাঠের মাঝখানে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেল। খুশবু নজর রাখছে মাঠের ধারে বসে। সাপটা প্রথমে ঝুড়ি থেকে বেরিয়ে অত লোকজন দেখে ও কোলাহল শুনে চুপ করে পড়ে রইল। সাপটাকে দেখেই চুপ করে যাওয়া জনতার মধ্যে চাপা গুঞ্জন শুরু হয়ে গেল। তারা চুপচাপ থাকার ফরমান বেমালুম ভুলে গেল। আজকের জনতা যেন একটু বেশিই কোলাহল করতে লাগল। রামবিলাস মনে মনে একটু বিরক্তই হচ্ছিল, কিন্তু সে জানে এখন আর তার সাপের থেকে চোখ সরানো যাবে না। তাই সে আর কোনো কথা না বলে এক পা এক পা করে এগোতে লাগল। রামবিলাস কেউটেটাকে লাঠি দিয়ে একটু খুঁচিয়ে দিতেই সেটা রেগে গিয়ে ফোঁস ফোঁস করে ফণা তুলে তেড়ে আসল তার দিকে। দর্শকরা কেউটৈর ফোঁসফোসানি দেখে শুনে শিহরিত।

                             শুরু হল রামবিলাসের একনাগাড়ে বুনো কেউটেটাকে ধরার প্রয়াস আর কেউটের বীরবিক্রম দেখিয়ে আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখার নিবিড় প্রক্রিয়া। কখনো আবার তীব্র ফোঁসফোসানির সাথে পাল্টা তাড়া করে ছোবল মারার চেষ্টাও। তখন রামবিলাস দ্রুত পায়ে ছিটকে সরে যায় আর তার হাতের লাঠিটা সামনে বাড়িয়ে ধরে রাখে। কিছুক্ষণ এই বিপজ্জনক খেলা চলার পরেই অভিজ্ঞ রামবিলাস বুঝে যায় যে আজকের লড়াইটা খুবই কঠিন। এই কেউটেটা যেমনি রাগী তেমনি সাবধানি। তাই সে ডানহাতের সঙ্গে বাঁ হাতেও একটা লাঠি নিয়ে নিল। একটা লাঠি যদিওবা পার পেয়ে যায় তাহলে অন্য লাঠি দিয়ে ঠেকানো যাবে। একবার বেকায়দায় পেয়ে প্রায় কব্জা করেই নিয়েছিল সে, ডানহাতের লাঠি দিয়ে মুখের মধ্যে ঢুকিয়েও ফেলেছিল, কিন্তু হঠাৎ একটা জোরালো ঝটকায় তা ঠিক ছাড়িয়ে নেয় কেউটেটা। এরকমভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলার পরে বুনো কেউটে সাপটা যেই একটু হাঁপিয়ে গেল, অমনি রামবিলাস লাঠিটা দিয়ে সাপের গলাটা মাটিতে চেপে ধরল। তারপরেই যেই হাত দিয়ে ধরতে গেল বস্তায় পুড়বে বলে, কিন্তু মূহুর্ত্তের অসাবধানতায় লাঠিটা আলগা হয়ে গেল আর কেউটেটা ছোবল মারল। রামবিলাস হায় রাম বলে ছিটকে পড়ল দূরে। পড়ে গিয়ে ডানহাতের কব্জিটা বাঁ হাত দিয়ে চেপে ধরেছিল। আর এটা দেখে দর্শকরা ভয়ে চুপ করে গেলেও খুশবু চিৎকার করে দৌড়াল রামবিলাসকে দেখার জন্য। কেউটেটা তখন মুক্ত হয়ে ফণা তুলে বীরত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রইল। খুশবু নিজের প্রাণের মায়া না করে রামবিলাসের হাতটা দড়ি দিয়ে বাঁধতে থাকল আর সেই সুযোগে সর্পরাজ নিজের সব রাগ উশুল করার জন্য খুশবুকেও ছোবল মারল।

                              হাসপাতালে পরদিন খুশবু মৃত্যুর সঙ্গে প্রাণপণ লড়াই করে পরাস্ত হল আর রামবিলাস শোকে পাথর হয়ে গেলেও প্রাণে বেঁচে গেছিল, কারণ তার হাতের গাছের শিকড়গুলোর উপরেই কেউটেটার ছোবলটা পড়েছিল। আর তারপর থেকেই রামবিলাস আর কোনদিন সাপের খেলা দেখায় নি।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy