কে ছিলো !
কে ছিলো !
বিকাল বেলা।মানে একদম শেষ বিকাল।হাঁটতে হাঁটতে বাঁ হাতের কব্জি ঘুরিয়ে হাত ঘড়িটা দেখলাম।পাঁচটা পনেরো।শীতের বেলা।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এইসব গাঁ অঞ্চলে ঝুপ করে সন্ধ্যা নামবে।স্টেশন থেকে বাড়ীর দিকে হাঁটছি এখন।কিমি কয়েক পথ।আজ কোনো ভাড়ার গাড়ী পেলাম না।এই গাঁ অঞ্চলে সব সময় গাড়ী পাওয়া যায় না।তার ওপর শীতের বেলা।আজ ট্রেনটাও মিনিট কুড়ি লেট করেছে।পথ বলতে গেলে শুনশান।ফাঁকা।একা একাই হাঁটছি।এদিকে স্ট্রিট লাইট নেই।তাই আশপাশ হাল্কা অন্ধকারে মোড়া। অবশ্য আমার অভ্যাস থাকাই আর পরিচিত পথ হওয়ায় হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে না সে রকম।এদিকে রাস্তার দু'পাশে ঘর বাড়ী নেই।বদলে চষা খেত টেত।গাছ টাছ এইসব।তাই পথটা বেশ নির্জন।ঝিঁ ঝিঁ করে একটা সুর কানে আসছে থেকে থেকেই।সেই সুর এই নির্জনতাটাকে আরো বাড়িয়ে তুলছে।এমন সময় পেছনে একটা পায়ের শব্দ পেলাম।মনে মনে ভাবলাম ,যাক ভালোই হলো একটা সাথী পাওয়া গেল।এই নির্জন সন্ধ্যায় একা একা হাঁটতে একটু কেমন কেমন লাগে।পেছন ফিরে তাকাতেই দেখি একটা খুব লম্বা লোক আমার দিকে কী অদ্ভূত চোখে তাকিয়ে।কে ও! আমার গলা থেকে গোঙানির মতো আওয়াজ বেড়িয়ে এলো আপনা আপনি।কারা যেন টর্চ হাতে ছুটে এলো।বললে,দাদা ভয় পেয়েছেন।এখানে অনেকে ভয় পায়। আমি টর্চের আলোয় ভালো করে দেখি একটা কলা গাছ ওখানে।একদম রাস্তাটা ঘেঁসে।ঘাম দিয়ে আমার ভয় কাটলো।ওরা জমিতে সেচের জল দিচ্ছিল।আমাকে ওরা গাঁ পর্যন্ত এগিয়ে দিলো। এরপর ঐ রাস্তায় দিনের বেলায় কত যাতায়াত করেছি।কিন্তু কোথাও পথের ধারে কোনো কলাগাছ চোখে পড়েনি।