পাখি তোমরা
পাখি তোমরা
সাহিত্যের অণুপ্রেরণা--গ্রাম বাংলার পাখি
-----------------------
এখন বিকাল।হাঁটতে হাঁটতে চলে এসেছি একদম গাঁয়ের শেষ প্রান্তে।এদিকে চারপাশে সব চষা খেত আর খেত।বেশ কিছু মেটে মেটে বক ভিজা খেতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে পোকা খাচ্ছে।ওদের লম্বা লম্বা ঠোঁট দিয়ে দিয়ে।ঐ যে সামনে নদী দেখা যাচ্ছে।ছোট্ট নদী।ব্রহ্মাণী। আর দু'পা হেঁটে চলে এলাম একদম নদীর তীরে।একটা গাছের তলায় পা ছড়িয়ে বসলাম দুদণ্ড। কৃষ্ণচূড়া গাছটা লাল লাল ফুলে ফুলে ভরা।তারই আড়াল থেকে কুউউ-কুউউ-করে কোকিলের ডাক কানে আসছে আমার। সামনে কুল কুল করে বয়ে চলেছে নদীটা।তাতে একঝাঁক হাঁস প্যাঁক প্যাঁক করে মনের আনন্দে সাঁতার কাটছে।সাদা কালো মেটে নানা রঙের তারা।জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে থেকে থেকেই উড়ে যাচ্ছে নীল ডানার মাছরাঙারা।ওরা মাছ ধরছে ঐ ভাবে।
কিচির মিচির করে একঝাঁক চড়ুই আমার থেকে কয়েক হাত দূরে মাটির রাস্তাটার ধূলোয় হুটোপুটি করছে।ধূলোস্নান করছে ওরা।হঠাৎ ঝাঁকটি ফড়ফড় করে উড়ে গেল।আমাকে দেখেই হয়তো। ক্যাচ্- ক্যাচ্ - করতে করতে একটা টিয়ার ঝাঁক উড়ে গেল।খুব নীচ দিয়ে।উড়তে উড়তে নদী পার হয়ে ঐ পাশের দূ-র দিগন্তে মিলিয়ে এলো।
সার বেঁধে বকের উড়ে যাওয়ার তো বিরাম নেই। এছাড়াও শালিক,ঘুঘু, পায়রা আরও কত নাম না জানা পাখিরা মেঘ মুক্ত আকাশী আকাশে উড়ে চলেছে থেকে থেকেই। দেখতে দেখতে পশ্চিম আকাশ লাল হয়ে আসলো।সূর্যমামা অস্ত গেলো।হাঁসগুলি জল থেকে তীরে উঠে ওদের ঘরে চলে গেল।ধীরে ধীরে চারপাশে আলো একদম কমে আসতে লাগলো।পাখিদের ওড়া উড়ি আর নেই।সন্ধ্যা নেমেছে।আমি উঠে পড়লাম।বাড়ীর দিকে হাঁটছি।এমন সময় ক্যাচ্ ক্যাচ্ করে উড়ে এসে রাস্তার পাশের একটা মস্ত নিমগাছে বসলো একটা সাদা প্যাঁচা।লক্ষ্মী প্যাঁচা।একদম ফুটফুটে সাদা।জ্যোৎস্নায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।