ঝম্ ঝম্ বৃষ্টিতে
ঝম্ ঝম্ বৃষ্টিতে


যত দূর চোখ যাচ্ছে, আকাশ ঘন কালো।আজ এক্কেবারে সকাল সকাল বৃষ্টিটা শুরু হয়েছে।বৃষ্টির শব্দেই আজ আবীরের ঘুমটা ভেঙে গেছে বলতে গেলে।বিছানাই শুয়ে শুয়েই ঘরের দেওয়াল ঘড়িটার দিকে তাকালো আকাশ।সবে পাঁচটা পাঁচ।আকাশের ভোরে ওঠা একদম অভ্যাস নেই।ঘুম ভাঙতে ভাঙতে সকাল সাতটা হয়ে যায় রোজই।এটাই আকাশের ঘুম থেকে ওঠার রোজকার সময়।এরপর স্নানটান সেরে ফ্রেশ হয়ে আটটাতে প্রাতঃরাশ সেরে বেড়িয়ে পরে অফিস।দিল্লীর এক সরকারী অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মচারী।সেখানেই ফ্ল্যাট নিয়ে থাকে।তাও বছর দশেক হচ্ছে দিল্লীতে থাকা।চাকরী করা।মাঝে মধ্যে ছুটিতে গাঁয়ের বাড়ী আসে।এখন যেমন কিছুদিনের ছুটি নিয়ে এসেছে।এখানেই তো বাবা,মা,ভাইরা থাকে সব।কেবল আবীররা স্বামী স্ত্রী চাকুরীসূত্রে থাকে দিল্লী। দাঁড়িয়ে বৃষ্টি হচ্ছে এখন।খোলা জানলা দিয়ে কোনো ছাঁট আসছে না ঘরে।জানলার পাশেই খাট পাতা।সেখান থেকে শুয়ে শুয়েই বাইরের ঝম্ ঝম্ বৃষ্টিটা দেখা যাচ্ছে।দোতলার ঘর এটা।জানলার নীচে একটা গোয়াল ঘর।আর তার ওপাশে একটা মস্ত নিমগাছ।সেই জ্ঞান হওয়া থেকেই আবীর দেখছে মস্ত নিমগাছটা।দাদুদের মুখে শুনেছে গাছটার বয়স আশি নব্বই বছর হবে।আর নিমগাছটার পাশেই একটা মস্ত বাঁশবাগান।সেইসবে বৃষ্টির জল পরে একটা সুন্দর সুর তুলেছে।মন শান্ত করা একটা সুর।
আকাশের অনেক দিন গাঁয়ের বৃষ্টি দেখা হয়নি।আসলে চাকুরী পাবার পর বর্ষার সময় গাঁয়েও আর আসা হয়নি।