কাঠগোলাপের রক্ত সৌরভ
কাঠগোলাপের রক্ত সৌরভ
আজ ময়ূরের বিয়ে চারিদিকে হইচই। কেউ শান্তিতে বসতে পারছে না। তবে ময়ূর যেন চুপচাপ আছে আজ। যে মেয়েটা সারাদিন টইটই করে ঘুরে বেড়ায় সে যেন আজ কেমনটা চুপ হয়ে গেছে।
বিগত পনের বছর পর আজ সে তার প্রেমিক পুরুষ তার আকাশদাকে পেতে চলেছে। যখন থেকে ময়ূরের জ্ঞান হয়েছে তখন থেকেই বুঝতে পেরেছে যে এই মানুষটার হাত থেকে মুক্তি নেই। যেনই ও যাক না কেন সেখানেই এই মানুষটা অদ্ভুতভাবে জীনের মতো উপস্থিত। একবার মিথ্যে বলার জন্য এই আকাশ তাকে এমন থাপ্পড় দিয়েছিল যে দুদিন জ্বরে ভুগে ছিল ময়ূর। তখন আবার এই আকাশই তার সেবা করে সুস্থ্য করে তুলেছিল।
জীবনে কোনোদিন প্রেম করার সুযোগ হয়নি মূয়রের কারনও একটিই আকাশ কোনোদিন কোনো ছেলেকে ওর ধারে কাছে আসতে দেয়নি। আর ওরও কোনো দিন প্রয়োজন বোধ হয়নি প্রেম করার কারণ জ্ঞান হবার পর থেকেই শুধু আকাশকেই ভালোবেসেছে।
মা হারা মেয়ে মূয়র । সে শুনেছে তাকে জন্ম দিতে গিয়ে তার মা চিরজীবনের মতো তাকে ছেড়ে চলে গেছে। অনেকেই তাকে দোষারোপ করে । ছোটবেলায় খুব কান্নাকাটি করলেও এখন আর করে না। তারপর ছ বছর বয়স হতেই তার বাবা তাকে রেখে বিদেশ চলে যায়। তখন থেকে তার চিরসঙ্গী হয়ে ওঠে আকাশ। আকাশেরও তেমন কেউ ছিল না তার দাদু ছাড়া। আকাশের বাবা মাও রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়।
ছোট থাকতেই তারা এক আত্মা এক প্রান হয়ে উঠেছিল। যদিও আকাশ একটু শাসনেই রাখে ময়ূরকে।
এই তো কালকের কথা সকাল থেকে কিছু খায়নি বলে বাড়ি ভরতি লোকের সামনে কি বকুনিটাই দিল আবার রাত্রেবেলায় তাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে একগুচ্ছ কাঠগোলাপ দিয়েছিল ময়ূরকে মেয়েটা আর অভিমান করে থাকতে পারেনি। সে কাঠগোলাপ গুলি নিয়ে বলেছিল----- কাঠ গোলাপের সুবাস,
প্রকৃতির আভাস,
অনুভবে চেয়ে থাকে মুক্তো আকাশ।
আর থাকতে পারনি আকাশ জরিয়ে ধরেছিল ওকে। কিছুক্ষণ বাদ আকাশ বলল
----- ফুচকা খাবি??
ময়ূর আবার না বলে সেও রাজি হয়েগেল খেতে। দিয়ু দুজনে মিলে ফুচকা খেয়ে রাত্রে বেলায় ফিরল।
এই গুলো ভাবছিল ময়ূর এমন সময় বাইরে প্রচুর শোর গোল শোনা গেল। বধূবেশে থাকা ময়ূর যখন বাইরে গেল তখন কে যেন বলল
------ খাদের কাছে বিরাট অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে আর খাদের ধারে যে গাড়িটা পাওয়া গেছে তা হল আকাশের...........