জটুর গল্প
জটুর গল্প
----ফরটি। রোল নম্বর ফরটি ।
সাড়া না পেয়ে ফুটকি বসিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছিল কর্ণ।
----জটু, স্যার নাম ডাকছেন।
----উপস্থিত।
বিরক্ত হয়ে কর্ণ বলল, “ গল্প পরে কোরো। নাম প্রেজেন্ট করার সময় একটু এদিকে মন দিও।
----স্যার, জটু গল্প করেনি। গরু দেখছিল।
অবাক হয়ে কর্ণ বলে, “ মানে?”
নতুন স্যারের কৌতূহল মেটানোর জন্য উঠে দাঁড়ায় ফাস্টবয় সুদীপ, “ স্যার, জটুর যত ইন্টারেস্ট সব গাছপালা, গরু,ছাগল নিয়ে। পড়াশোনায় একদম মন নেই ওর। টেনেটুনে পাশ করে।”
কর্ণ তাকিয়ে দেখল জটু ওরফে জিতেন্দ্রিয় মুখ নিচু করে বসে আছে।
--- তোমার পড়তে ভালো লাগে না? নরম গলায় বলল কর্ণ।
চোখ তুলে স্যারের দিকে তাকিয়ে আস্তে করে মাথা নাড়লো জটু। আর কিছু না বলে পড়ান শুরু করলো কর্ণ। সামনে পরীক্ষা। সিলেবাস বাকি আছে।
কর্ণ সপ্তাহখানেক আগে যোগ দিয়েছে এই স্কুলে। হাওড়ার ছেলে কিন্তু স্কুল থেকে বাড়ির দূরত্ব প্রায় একশ কিলোমিটার হওয়ায় এই সোনারডাঙ্গা গ্রামেই এখানকার প্রাইমারী স্কুলের হেডস্যার বিনোদবাবুর বাড়িতে পেয়িংগেস্ট হিসেবে থাকে কর্ণ। বাড়ির চারপাশেই ভারী সুন্দর বাগান করেছেন বিনোদবাবু। সেদিন বিকেলে কর্ণ বিনোদবাবুর সাথে গল্প করতে করতে ফলের বাগানের দিকে চলে এল।
----কি রে জটু কি করছিস এখানে?
কর্ণ দেখল জটু একটা আমগাছের পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
-----পাখির ছানাগুলো কত বড় হয়েছে দেখতে এসেছি।
জটুর চোখ দুটো ভারী মায়াময়।
---- তোর সেই পুকু,টুকু,মুকু? হাসতে হাসতে বললেন বিনোদবাবু।
-----হুম, বড় হয়ে গেছে। এরপর উড়তে শিখে যাবে। কথাগুলো বলেই আড়চোখে একবার কর্ণর দিকে তাকিয়ে বিনোদবাবুকে জটু বলল, “ আমি এখন আসছি জেঠু।” বলেই দিল এক দৌড়। কর্ণর মনে হলো বোধহয় ওর উপস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে পালাল ছেলেটা।
---- চেন? তোমার স্কুলেই সিক্সে পড়ে।
-----হুম। পড়াশোনায় খুবই অমনোযোগী।
-----হ্যাঁ,এইজন্যই ওর বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ নেই। ওর দাদা সৌরপ্রভ ক্লাস টেনে পড়ে। ফাস্ট হয় প্রতি বছর।
কর্ণ মাথা নাড়লো। সত্যিই সৌরপ্রভ পড়াশোনায় খুব ভালো। বিনোদবাবু আবার বলতে শুরু করলেন, “ জটুর দাদু হঠাৎ মারা যাওয়ায় এম.এ পড়া মাঝপথে ছাড়তে হয় ওর বাবাকে। একমাত্র ছেলে হওয়ায় বাড়ি ফিরে এসে ব্যবসা আর জমিজায়গার হাল ধরতে হয়। এই কারণে ছেলেদের পড়াশোনার ব্যাপারে সমরের খুব নজর। ওর ইচ্ছে ছেলেরা পড়াশোনা করে সুপ্রতিষ্ঠিত হোক কিন্তু জটুকে নিয়ে পড়েছে মহা মুশকিলে। ছোট থেকেই জটুর আনমনা প্রকৃতির। একলা একলা বন-বাদারে ঘুরে বেড়ায়। মানুষের চেয়ে পশু-পাখির সঙ্গ ওর বেশি পছন্দের। যখন প্রাইমারি স্কুলে ছিল তখন কত বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু লাভ হয়নি।”
আজ বিকেলে আবার জটুর দেখা পেল কর্ণ।
----কি পুকু-মুকুর কি খবর?
প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেও তারপর মুখটা উজ্জ্বল হয়ে উঠল জটুর, “ ওরা উড়তে শিখে গেছে।”
“বাহ! তা তুই আজকে স্কুলে যাসনি কেন?”
মুহূর্তের মধ্যে জটুর মুখে আঁধার নেমে এল। চোখদুটো ছলছল করে উঠলো। কর্ণ এগিয়ে এসে জটুর কাঁধে হাত রাখে, “ কি হয়েছে জটু?” চোখের জল গালে গড়িয়ে এল, “ লাল্টু আজ মরে গেল স্যার।”
“ লাল্টু?”
কান্নাভেজা গলায় জটু জানাল যে কয়েকদিন আগে রাস্তার ধারে সে একটা কুকুরছানা কুড়িয়ে পেয়েছিল। দুস্টু ছেলেরা ঢিল মেরে তাকে জখম করে দিয়েছিল। জটু তার শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে লাল্টু আজ মারা গেছে। কর্ণ জটুর চোখ মুছিয়ে দিয়ে বলল, “ আজ আমি তোর সাথে তোদের গ্রাম ঘুরে দেখব। নিয়ে যাবি তো?” চোখে জল, মুখে হাসি নিয়ে জটু ঘাড় নাড়লো।
গিরিপুকুরের পাড়ে বসে আছে জটু আর কর্ণ। স্যারের সাথে ঘুরতে ঘুরতে জটুর মনখারাপটা একটু একটু করে ওই দিগন্তের পারে মিলিয়ে যাচ্ছে।
“ জটু, পশুপাখি, গাছপালা এদের তুই খুব ভালোবাসিস তাই না রে?”
“হুম, সবাই এদের শুধু শুধু কষ্ট দেয়। বাপনরা লাল্টুকে ঢিল না ছুঁড়লে লাল্টু আজ বেঁচে থাকতো। সেদিন টুটুলদা টিয়া পাখির বাসা থেকে তার দুটো ছানাকে নিয়ে পালিয়ে গেল। ওর মায়ের তো কষ্ট হবে। আমার নিষেধ শুনলো না।”
কর্ণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে জটুর দিকে এইটুকু ছেলের ভেতরটা তো শুধু মায়া দিয়ে ভরা। ওর মত অনুভব করার ক্ষমতা খুব কম মানুষেরই আছে।
“ বিনন্দটা এত দুস্টু যে প্রজাপতি, ফড়িং ধরে তাদের ডানা ছিঁড়ে দেয়। আমার বারণ শোনেই না।” জটু আরও বলে যাচ্ছে। তার এই বারো বছরের জীবনে এই প্রথম কেউ তার কথা এত মন দিয়ে শুনছে।
“ এই দ্যাখ কুকুরছানার দেখভাল কিভাবে করতে হয় লেখা আছে এখানে।” জটু মহা উৎসাহে স্যারের বইটার ওপর ঝুঁকে পড়ল কিন্তু পরমুহূর্তেই মুখটা শুকিয়ে গেল, “ এত ইংরেজিতে লেখা স্যার।”
“ হুম, সহজ করে লেখা আছে। তুই তো সিক্সে পড়িস। চেষ্টা করলেই পড়তে পারবি।” জটু নিঃশব্দে মাথা নাড়লো।
“ তাহলে তো ভারী মুশকিল হলো জটু। আমি তো তোর জন্য অনেক বই আনলাম। তোর ভালো লাগবে বলে কিন্তু তুই তো পড়তেই পারবি না।” কর্ণ ওর ব্যাগ থেকে একটা বই বার করল। সেলিম আলির লেখা “ দ্য ইন্ডিয়ান বার্ড”। ওর জ্যেঠু বই পাগল মানুষ তাঁর কাছ থেকে নিয়ে এসেছে। জটুর হাতে বইটা দিতে সে উল্টেপাল্টে দেখে ছটফট করে উঠলো যেন ক্ষুধার্ত মানুষের সামনে রাজভোগ রাখা আছে কিন্তু কোনও কারণে সে খেতে অপারগ। এতদিন বই বলতে তার হাতে জোর করে ওই নিরস পড়ার বইগুলো গুঁজে দেওয়া হতো। সে ভাবতেই পারেনি তার প্রিয় ফুল,পাখি,গাছপালা এসব নিয়েও কেউ বই লেখে। জটুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো কর্ণ। এই ছটফটানিটা জাগানোর জন্যই তো বইগুলো আনা।
“এই বইটা যিনি লিখেছেন তিনি পাখিদের ভারী ভালোবাসতেন। পাখিদের নিয়ে আরো কত বই লিখেছেন। পাখি নিয়ে তিনি যা বলেন তাই শোনে সবাই।”
জটু অবাক হয়ে বলল, “ সবাই শোনে!’
“ শোনে তো। আসলে পাখিদের নিয়ে তিনি বিস্তর লেখাপড়া করেছেন কিনা।” বইটার দিকে তাকিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় জটু। বইটা তাকে চুম্বকের মত টানছে কিন্তু সে পড়বে কি করে। আচ্ছা, স্যারকেই জিগ্যেস করা যাক তিনি যদি কোনও উপায় বাতলে দেন।
জটু এখন ভারী ব্যস্ত থাকে সারাদিন। সোনার ডাঙ্গার পশুপাখি, গাছপালার খবর রাখার সাথে সাথে নতুন স্যারের কাছ থেকে কত নতুন নতুন জিনিস শিখতে হয় তাকে। দুনিয়ায় যে এত রকমের পশুপাখি, গাছগাছালি আছে জটু কোনও দিন ভাবতেই পারে নি। তবে মানুষ ভারী দুস্টু প্রকৃতির প্রতি তাদের মায়া-মমতাই নেই অথচ প্রকৃতি উদার হস্তে আমাদের ভরিয়ে রাখে। জটু স্যারকে শোনায় বড় হয়ে সে দুস্টু মানুষগুলোকে কীভাবে জব্দ করবে আর স্যার তাকে ধীরে ধীরে দুস্টু লোকদের দুস্টুমি বন্ধ করার পথটা ধরিয়ে দিতে থাকেন।
কলেজ থেকে ফিরে মানুষটার দিকে তাকিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল অদিতির। সেই ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার পর থেকেই হুইলচেয়ার বন্দি মানুষটা। পাঁচ বছর আগে এক ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কর্ণর গাড়ি। কর্ণর সহকর্মী প্যাট তৎক্ষণাৎ মারা যায়। কর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও তার পা দুটো অচল হয়ে যায়। ডাক্তার অবশ্য বলেছেন যে পায়ের ক্ষত সব সেরে গেছে কিন্তু চোখের সামনে দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্যাটের মৃত্যু কর্ণকে মানসিক ভাবে এতই দুর্বল করে দিয়েছে যে চলৎশক্তি হারিয়ে ফেলেছে সে। কর্ণ প্রথম জীবনে হাইস্কুলে চাকরি করত তারপর কলেজে কয়েক বছর পড়াবার পরই ইংল্যান্ডে আসার সুযোগ পেয়ে যায়। প্রবাসের সেই প্রথমদিনগুলো থেকে প্যাট আর কর্ণ অভিন্ন হৃদয় বন্ধু ছিল তাই তার এই মর্মান্তিক মৃত্যু কর্ণকে মানসিক ভাবে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।
“ মম।”
“ মম”।
ছেলেমেয়ের উপর্যুপরি ডাকে ঘুরে তাকালো অদিতি। কর্ণও বই থেকে মুখ তুলল।
“ ড্যাড, এটা কি তোমার ফোটো?” ছেলের ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল কর্ণ। বহুবছর আগের কর্ণ হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। স্মৃতি হাতড়ে কর্ণর মনে পড়লো এটা সোনারডাঙ্গায় তোলা ফোটো।
“ ড্যাড, বলো না এটা তুমি?” উত্তেজিত কন্ঠ অনিশার।
“ হ্যাঁ।” মাথা নাড়ে কর্ণ।
“ দ্যাট মিনস জে. পি তোমার কথা বলেছে! তুমিই জে. পির সেই স্যার!”
“ কি বলছিস তুই আমি কিছু বুঝতে পারছি না। জে. পি কে?”
“ ড্যাড, জে. পি মিনস জিতেন্দ্রিয় পাত্র। তুমি তো সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছ তাই জান না উনি ইন্ডিয়ার ফেমাস ন্যাচারালিস্ট। কি জ্ঞান ওনার পরিবেশ সম্পর্কে! প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। লাস্ট ইয়ার আমি যখন দিল্লী গিয়েছিলাম তখন ওনার একটা স্পিচ শুনেছিলাম সুন্দরবনের ওপর। জাস্ট ভাবা যায় না উনি পরিবেশ সম্পর্কে এত ভাবেন! জানো ড্যাড, প্রকৃতিকে বাঁচাতে মানুষটা নিজের জীবনেরও তোয়াক্কা করেন না। আমার তো ভাবতেই ভীষন ভালো লাগছে যে জে. পির মত একজন মানুষকে তৈরি করার পেছনে আমার ড্যাডের অবদান আছে।” অনিশার নিজের বিষয়ও পরিবেশবিদ্যা তাই স্বভাবতই তার উত্তেজনা বেশি।
“ ড্যাড, তুমি আগে এটা পড়ে দেখ। জিতেন্দ্রিয় পাত্র একটা ইন্টারভিউতে যা বলেছেন সেটাই ভাইরাল হয়ে গেছে। এখানে সেটাই লেখা আছে।”
ছেলের ফোনটা হাতে নিল কর্ণ।
“ এই ছবিটা আমার স্যার কর্ণ সরকারের। একবছরের জন্য এসেছিলেন আমাদের গ্রামে কিন্তু সেই কটাদিনের মধ্যেই আমাকে এক আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। যখন কেউ আমায় বোঝেনি তখন তিনি আমায় বুঝেছিলেন। রক্তের সম্পর্কের কেউ না হলেও তিনিই হয়ে উঠেছিলেন আমার সবচেয়ে আপনজন। তারপর থেকে আমি তাঁর দেখানো পথেই হেঁটে চলেছি। স্যার, আপনি কোথায় আছেন আমি জানি না কিন্তু আপনার প্রতিটা কথা আমি মনে রেখেছি। আপনার জন্যই জটু আজ জিতেন্দ্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছে। আপনি আমায় বলেছিলেন যে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে তবেই আমার কথা সবাই শুনবে। তোদের ক্লাসের ফাস্ট বয় কিছু বললে সবাই মন দিয়ে শোনে সে যত অপ্রয়োজনীয় কথাই হোক না কিন্তু তোর কথা শুনে কেউ কুকুরকে ঢিল মারাও বন্ধ করে না, গাছ কাটাও বন্ধ করে না। এই অবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। তোকে এমন হতে হবে যাতে সবাই তোর কথাকে গুরুত্ব দেয়। স্যার, আজ জটুর কথা সারা বিশ্ব শুনবে। আমি রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে ডাক পেয়েছি পরিবেশ সম্পর্কে আমার কথা শোনানোর জন্য। আপনি চলে যাওয়ার দিন আমি যখন খুব কাঁদছিলাম তখন আপনি বলেছিলেন যে বনের পশুপাখি, জঙ্গল এদের তো কেউ নেই। আমাকেই এদের রক্ষা করতে হবে। অনেক বড় মানুষ হয়ে আমি যখন এদের পাশে দাঁড়াব আপনি ঠিক আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন। স্যার, আপনার কথা আমার ভীষন মনে পড়ে। খুব ইচ্ছে করে আবার আপনার হাত ধরে সোনারডাঙ্গার বাতাসে বুকভরে শ্বাস নিতে।”
প্রায় পাঁচবছর পর কর্ণর ঠোঁটের কোণে হাসি।
“ ড্যাড, তোমাকে জে. পির ওপর তৈরি একটা ডকুমেন্টারি দেখাচ্ছি দাঁড়াও।”
কর্ণ মুগ্ধ হয়ে দেখছে লম্বা,পেটানো চেহারার এক যুবক মধ্যপ্রদেশে জঙ্গল কেটে কারখানা বানানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে পুলিশের লাঠি খাচ্ছে, সুন্দরবনে চোরাশিকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে, সরকারের সাথে আলোচনায় বসছে জঙ্গল রক্ষার্থে। নতুন প্রজেক্ট শুরু করছে “ সেভ ফরেস্ট, সেভ ফিউচার” নামে। নিজের একটা টিমও তৈরি করেছে।
পরের দিন স্ত্রী, ছেলেমেয়ে অবাক হয়ে দেখল হুইলচেয়ার থেকে উঠে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে কর্ণ বলছে, “ আমি দেশে ফিরব। জটু এখন অনশনে বসেছে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে এটমিক পাওয়ার প্ল্যান্ট বানানোর বিরুদ্ধে। জানো, ওর ছোট্ট ছেলেটাও ওর সাথে আছে। আমাকেও যেতে হবে। আমি যে ওকে কথা দিয়েছিলাম। ও আমার পথ চেয়ে আছে।