জন্মদাগ
জন্মদাগ


দাদুর বড়ো আদুরে গিনি। সারাটা দিন দাদুর আশেপাশে ঘুরঘুর করে বেড়ায়। বয়সজনিত কারণে আজকাল গিনির দাদু কেবলমাত্র সন্ধ্যাবেলাতেই রুগীপত্র দেখেন। সকাল থেকে সারাদিনই নাতি-নাতনিদের সাথে কাটান। শ্রাবণীবেলায় গিনিরা তুতো ভাইবোনেরা দাদুর চারপাশে ঘুরেঘুরে ধরাধরি খেলছে। হঠাৎ গিনি চোখ উল্টে মুখ বেঁকিয়ে গোঁগোঁ করে অজ্ঞান, নাক, মুখের কষ বেয়ে রক্ত। দাদু হতবাক, গিনির নাড়ী বন্ধ। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু। ছ'বছরের গিনির সুস্বাস্থ্য, পুঙ্খানুপুঙ্খ নীরিক্ষণও দাদুরই, কোনোরকম শারীরিক সমস্যা জন্মাবধি ছিলো না। পরদিন গিনির বড়জ্যাঠা গয়ায় অকালমৃতা স্ত্রীর পিণ্ডদান করে ফিরলো। একইসাথে পূর্বপুরুষদের পিণ্ডও দান করে এসেছে। শুনে গিনির দাদুর নিজের মায়ের ছবির সামনে বসে বিলাপ, "তোমায় ধরে রাখতে পারলাম না, মা।" আচম্বিতে সবার নজর ছবির বৃদ্ধার বাঁগালের ক্ষতচিহ্নতে, গিনিও তো অবিকল এই জন্মদাগসমেতই ভূমিষ্ঠ হয়েছিলো!