#জিজীবিষা
#জিজীবিষা


প্রচন্ড গায়ে ব্যথা নিয়ে সঞ্চারী বিধ্বস্ত হয়ে স্নানঘরের দিকে এগোলো। শরীর মন নি:স্ব। তার স্বামী সৌমেন কাল অকথ্য মারধোরের পর জবরদস্তি ওই ব্যথা গায়েই তার সাথে শারীরিক সম্বন্ধে লিপ্ত হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে এমনই চলেছে। সঞ্চারী একটা ছোট ডিস্পেন্সারীতে একাউন্টসের কাজ দেখে। ফিরতে একটু রাত হয়েছিল বলে এই কান্ড! কদিন থেকেই অবশ্যি নানা অজুহাতে এই একই কান্ড ঘটছে! রেপ! একে তো রেপই বলে! গা রি রি করে ওঠে সঞ্চারীর।
স্বামী আর এক ছেলের ছোট্ট সংসার তার। সৌমেন একটা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করে। নিজে রাত নটা দশটায় ফেরে.. কিন্তু একদিনও যদি সঞ্চারীর দেরী হয়, তবে আর রক্ষে নেই! ছেলেটাকে পর্যন্ত নিজের ধাঁচে তৈরি করেছে সৌমেন। পনেরো বছর বয়সেই মাকে কথায় কথায় ধমকায়..
"তুমি বেশী কথা বোলোনা তো, খেলার কি বোঝো তুমি??"
ভাগ্যদেবী বোধহয় অলক্ষ্যে হাসেন। শ্বশুর শাশুড়ি অনেকদিন আগেই গত হয়েছেন। ভেবেছিল চুটিয়ে সংসার করবে। সাত সকালে উঠে বাড়ির সব কাজ মিটিয়েই তার কাজে বেরোতে হয়। তা এই কয়েক বছরে সব শখ মিটে গেছে! আজ আর কাজে যেতে পারলোনা সঞ্চারী। গায়ে খুব বেশী ব্যথা। বাবা ছেলে বেড়িয়ে যাওয়ার পর ঠাকুরঘরে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নিশ্চুপ হয়ে বসে রইল। মনটা বেশ কিছুটা ঠান্ডা ও একত্রিত হওয়ার পর স্থির করল আর দাঁতে দাঁত চেপে শরীর মনের পেষণ সহ্য করবে না। চেনাপরিচিত সূত্রে দার্জিলিং এ একটা মন্টেসরীতে পড়ানোর অফার পেয়েছিল কয়েকদিন আগে। সংসারের কথা ভেবে না করে দিয়েছিল। এবারে সেটা এক্সেপ্ট করবে। আর দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য নয়, বরং দাঁতে দাঁত চেপে বাঁচার আর একবার চেষ্টা করে দেখবে সে, এবারে শুধু নিজের জন্য