Debasmita Ray Das

Romance Classics

2.5  

Debasmita Ray Das

Romance Classics

Those Days Part Eight

Those Days Part Eight

4 mins
322



      সকালে আরুষি তার ফোনটা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছিল, গোগোল কোথা থেকে এসে তার ফোনটা কেড়ে নিয়েই দৌড় দিল। এইসব দুষ্টামি তার খুব ভাললাগে। বিশেষত সে দূর থেকে দেখেছিল, পিসি খুব মনোযোগ সহকারে ফোনটা দেখছে! আরুষিও তার পিছনে দৌড়ে অন্য ঘরে গিয়ে তাকে ধরতে যেতেই, ফোনটা বেজে উঠল। ফোনটা নিয়ে দেখে রোহিত। 


আগের দিন জিনির ওই অনেক কথার পর আরুষি কেমন জানি চুপ করে গিয়েছিল। নামার সময়েও বিশেষ আর কথা বলে নি। শেষের দিকে রোহিতের মনে হয় একটু সন্দেহ হচ্ছিল। তাই হয়তো এই ফোন। গোগোলের গালটা একটু টিপে দিয়ে ফোনটা ধরতেই....


"হ্যালো"


"আরুষি, আমি রোহিত বলছি। আজ কলেজে আসছো তো? আজ রিহার্সালের সাথে সাথে একটু ডিসকাসানও করবার আছে। আর তো মাত্র দুদিন। আর পিউও বলল ওর এক বন্ধু ভাল গান করে তাকেও আনবে। তাহলে সব কটা ডুয়েট আমি না করে একটাতে ওদের দুজনকেই দিয়ে দেব ভাবছি।"


"ঠিক আছে, আসবো আমি"।


আরুষি ফোনটা রাখতেই যাচ্ছিল, রোহিত আবার বলল..


"বলছি কি, তোমার কি কিছু হয়েছে? কোনো কারণে মন কি খারাপ?"


"না না, ঠিক আছি"।


আরুষি ফোনটা রেখে দিল। সত্যিই কি তার কিছু হয়েছে? সে কি রোহিতকে তবে ভালোবেসে ফেললো? পিউ তাকে ফোন করেছিল রাতেই, তাই পিউএর সেই বন্ধু যে অর্ণব, তাতে তার কোনো সন্দেহই নেই।


রোহিতের কেমন একটা লাগলো জানি আরুষির গলাটা। কারণটা ঠিক বুঝলোনা। কেউ কি কিছু বলেছে তাকে। এই কদিনেই তাকে বেশ ভালোলেগেছে রোহিতের, ফেস্টের দিন তাকে জানাবেও ভাবছিল.. কিন্তু ওর গলা এমন লাগলো কেন? আরুষির কি তবে ওকে ভালোলাগেনা?? 


রোহিতের ভাবনায় ছেদ ফেলে কলিং বেলটা বেজে উঠলো। একটু অবাক হল। সবে নটা বাজে, এই সময়ে কে এল? আজ দিদি একটু সকালেই বাবার সাথে বেরিয়ে গেছে, অফিসে একটু দরকার ছিল। রোহিত ভাবল পিউ হতে পারে, হয়তো রিহার্সালের জন্য এসেছে। দরজা খুলে দেখে জিনি! একটু অবাক হল রোহিত। জিনি একটু হাসল..


"আজ ঘুম খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে গেল রে। বাবা নেই, আর বাকি সকলে ঘুমাচ্ছে।বাড়ি বসে বড্ড বোর লাগছিল, তাই তুই কি করছিস দেখতে এলাম!"


গল্প করতে করতে দুজনে ওপরে রোহিতের ঘরে এসে বসল। জিনি তার পছন্দের স্লিভলেস শর্ট টপ আর হট প্যান্ট পড়ে এসছে। রোহিত ছোটবেলা থেকে তাকে এভাবেই দেখেছে.. তাই আর কিছু ভাবেনা! সামনেই ফেস্ট সেই নিয়েই কথা হচ্ছিল,, রোহিত জিনিকে অর্ণবের কথাও বলছিল.. এমন সময় হঠাৎ জিনি তার একদম গায়ে ঘেঁষে বসে বলল..


"অনেকদিন আমাদের এরকম একা বসে আড্ডা হয় নি.. খুব ভালোলাগছে আমার.."


"মানে, কি বলতে চাইছিস তুই?"


"কেন, তুই কি অন্ধ বুঝতে পারিস না.. নাকি আরুষি ছাড়া কাউকে দেখতেই পাস না আশেপাশে.. হাঃ দ্যাট বিচ!!"


"জিনি! তোর কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?"


বলে তাকে সরাতে যেতেই এক ধাক্কা মেরে রোহিতকে ফেলে দিয়েই জিনি নিজে ওর উপর চড়ে বসল। এক ঝটকায় খুলে ফেলল নিজের টপ.. তারপর চেপে ধরল নিজেকে রোহিতের উপর। রোহিত কেমন জানি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। তারপর এক ঝটকায় জিনিকে নিজের থেকে দূরে ফেলে দিয়ে উঠেই রাগতভাবে বলল..


"এখুনি বেরিয়ে যা আমার বাড়ি থেকে!"


জিনি কাঁদতে শুরু করল। রোহিত আর তার কোনো কথা শুনলো না। নিচে নেমে চলে এল। পরে তার নিজেরই খারাপ লাগছিল এতোটা রুড হওয়ার জন্য। জিনি নিচে আসতে সে জিনিকে পাশে বসিয়ে হাতটা ধরে বলল..


"জিনি তুই আমার খুব ভাল বন্ধু, সেই ছোট্টবেলার। কিন্তু তোকে আমি কখনো সেই চোখে দেখি নি। ইউ আর জাস্ট আ কিউট ফ্রেন্ড টু মি ডিয়ার। উই উইল অলওয়েস বি গুড ফ্রেন্ডস...."


জিনি সায় দিয়ে ঘাড় নাড়লো। তারপর রোহিত ওকে ওর বাড়ি অব্ধি ড্রপ করে দিয়ে এল।


আরুষি আর পিউ আজ একসাথেই ঢুকলো ক্লাসে। অর্ণব আগে থেকেই ছিল, ওদের দেখেই একটা হাই করল। ক্লাস তখনো শুরু হয়নি, দুজনে পিছনে গিয়ে বসল। পিউ বলল..


"আজ তোমায় আমাদের রিহার্সালে নিয়ে যাব কিন্তু। কথা দিচ্ছি খুব ভাললাগবে। রোহিত বলেছে তোমার আর আমার একটা ডুয়েটও থাকতে পারে! তুমি গাইবে তো?"


"তা তো নয় হল, কিন্তু আমার গান শুনে যদি আশপাশের লোকজন তোমাদের তাড়া করে, তবে কিন্তু আমায় দোষ দিতে পারবেনা!"


পিউ আর আরুষি দুজনেই হেসে উঠল। 


স্যাম ক্যান্টিনে বসে ছিল জিকোর সাথে, এমন সময় জিনি বেশ উদ্ধতভাবেই ঢুকে তাকে বলল..


"স্যাম শোন, তোর সাথে কিছু কথা আছে। বাট আমি এখানে বলতে চাই না.. ডু ইউ নো আ মাচ সেফার প্লেস সামহোয়্যার??"


"ওকে আমাদের রিহার্সালের পর বলিস"।


"নো, সাম অদার প্লেস!"


এবারে স্যাম একটু অবাক হল। কি এমন কথা! তবু মনের ভাব গোপন রেখেই বলল..


"ওকে দেন রিহার্সালের পর আমার সাথে যাস এক জায়গায়, আমাদের রাতের আড্ডায়.. সেখানে গিয়েই কথা হবে.. ওকে?"


"ওকে"

জিনি যেভাবে এসছিল, আবার সেইভাবেই ঝড়ের মতোন বেরিয়ে চলে গেল!


সঞ্জয়ের কথাঃ পুরো নাম কি, কেউ জানে না। ছোটবেলা থেকেই মা ছেড়ে চলে গেছে.. বাবার খবর কেউ জানেনা। পাড়ায় একজন দয়া করে দুটো খেতে পড়তে দিত, সেই একটা ভালো নামও দিয়েছিল.. সেটাই চলছে। এতোদিনে তার মনটা একদম বিষিয়ে গেছে.. একটা প্রকৃত নরকের কীটে পরিণত হয়েছে! স্যামের সাথেও সম্পর্ক রাখে.. তার পিছনেও একটা বড়ো উদ্দেশ্য আছে। সেটা ক্রমশ প্রকাশ্য।।


ক্রমশ


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance